সংক্ষিপ্ত
- রাষ্টসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে দেশে গণভোট হোক
- নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মোদীকে চ্যালেঞ্জ মমতার
- সিএএ নিয়ে লাগাতার আন্দোলনে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী
- বৃহস্পতিবার সমাবেশ হল কলকাতার রানী রাসমণি রোডে
নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের পরিচালনার গণভোটের দাবি তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদী সরকারকে তাঁর চ্যালেঞ্জ, 'বুকের পাটা থাকলে গণভোট করুন। গোটা দেশে ভোট হোক। ভোট পরিচালনা করবে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। আমরাও দেখতে চাই।' মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, 'আগুন নিয়ে খেলবেন না। সবকিছু হারিয়ে গেলে ফেরত পাওয়া যায়। কিন্তু অস্তিত্ব হারিয়ে কিছু পাওয়া যায় না।'
নাগরিকত্ব আইনে প্রতিবাদে রাজ্যে লাগাতার আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। যতদিন যাচ্ছে, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় বিরুদ্ধে সুর ততই চড়ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বৃহস্পতিবার কলকাতার রানি রাসমনি রোডে জনসভা করল তৃণমূল কংগ্রেস। জনসভায় বক্তব্য রাখলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো দলের শীর্ষ নেতারা। শেষবেলায় সমাবেশে হাজির তৃণমূলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। রীতিমতো কাঁসর-ঘণ্টা বাজিয়ে উপস্থিত সকলকে নিয়ে 'আমরা সবাই নাগরিক' স্লোগান তোলেন তিনি। এরপর ব্ল্যাকবোর্ডে 'নাগরিক সবাই' লিখে ছবি এঁকে দেন। সংক্ষিপ্ত ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী হুংকার, মনে রাখবেন, আমরা সবাই স্বাধীন দেশের নাগরিক। কারও দয়ায় এদেশের বসবাস করি না। সব মহল থেকে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে, চলবে। এটা বাতিল করতেই হবে। স্বাধীনতার ৭৩ বছর পর সবাইকে প্রমাণ করতে হবে যে যে নাগরিক!'
গত সোমবার থেকে নাগরিকত্ব আইনে বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। সেদিন রেড রোডে আম্বেদকরের মূর্তি থেকে জোড়াসাঁকোয় ঠাকুরবাড়ি পর্যন্ত মহামিছিল করেন তিনি। মঙ্গলবার যাদবপুর থেকে ভবানীপুরের যদুবাজার পর্যন্ত মিছিলে হাঁটেন মুখ্যমন্ত্রী। আর গতকাল অর্থাৎ বুধবার মিছিল হয় হাওড়া ময়দান থেকে ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত। শুক্রবার পার্ক সার্কাসে সমাবেশ করবে তৃণমূল। যতদিন দিন না এনআরসি ও নাগরিকত্ব আইন বাতিল করা হচ্ছে, ততদিন আন্দোলন চলবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।