সংক্ষিপ্ত
দিল্লি যাওয়ার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন গায়ের জোরে তিনি বিএসএফ-কে জায়গা দখল করতে দেবেন না। তবে বিএসএফ-র সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত কোনও শত্রুতা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।
দিল্লি যাওর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bnerjee) স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন তিনি প্রধাননন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) সঙ্গে বিএসএফ ইস্যুতে (BSF Issue) কথা বলতে যাচ্ছেন। এছাড়াও রাজ্যের উন্নয়নসহ একাধিক বিষয় নিয়েও তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন। পঞ্জাব, হরিয়ানা ও পশ্চিমবঙ্গে বিএসএফএর কাজের সীমানা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আগে যেখানে কাজের পরিধি ছিল ১৫ কিলোমিটার এখন তা বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করা হয়েছে। এই এলাকার মধ্যে কোনও ঘটনার জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকায় তল্লাশি যেমন বিসএফ করতে পারবে তেমনই কাউকে প্রয়োজনে আটক ও গ্রেফতার করার ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সকে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই আপত্তি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা। সেই বিষয়ই তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা দিল্লিতে গিয়ে কথা বলবেন বলেও সোমবার জানিয়েছেন।
দিল্লি যাওয়ার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন গায়ের জোরে তিনি বিএসএফ-কে জায়গা দখল করতে দেবেন না। তবে বিএসএফ-র সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত কোনও শত্রুতা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। তারা তাঁর বন্ধু বলেও জানিয়েছেন। বিজেপি বিএসএফ-এর মাধ্যমে দলের ক্ষমতা বাড়াতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর কথায় 'BSF মানেই BJP সেফ'- এটা মনে করা ঠিক নয়। তিনি আরও বলেন প্রত্যেকটি সংগঠনেরই নিজস্ব কাজের পদ্ধতি ও এক্তিয়ার রয়েছে। রাজ্য পুলিশেরও যেমন রয়েছে, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীরও তেমন রয়েছে। কিন্তু বিজেপি তা মানতে চাইছে না বলেও অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
TMC: মমতার দিল্লি যাওয়ার আগেই বাড়িতে ডাক অমিত শাহর, ত্রিপুরা ইস্যুতে তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে কথা
মমতা আরও বলেন শুধু বিএসএফ নয় প্রত্যেকটি সংগঠনকে বিজেপি দলীয় কাজে ব্যবহার করছে। যা তিনি মেনে নেবেন না বলেও স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তবে এর আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিএসএফ ইস্যুতে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। রাজ্য বিধানসভাতেই বিএসএফএর এক্তিয়ার বিরোধী প্রস্তাব পাশ করা হয়েছিল। পক্ষে ভোট পড়েছিল ১১২টি আর বিপক্ষে ভোট পড়েছিল মাত্র ৬৩টি। পরিষদীয় মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিএসএফএর এক্তিয়ার বাড়ানোর ইস্যুটির বিরুদ্ধে প্রস্তাব উত্থাপন করেন। বিধানসভার ১৮৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী প্রস্তাব আনা হয়। আলোচনার পর ভোটাভুটিও হয়েছিল।
বিএসএফ ইস্যুতে রাজ্যে শাসক ও বিরোধী দলের মধ্যেই তুমুল মতপার্থক্য রয়েছে। বিজেপি বিধায়করা বিএসএফ-এর এই এক্তিয়ার বৃদ্ধির পক্ষেই সওয়াল করে কেন্দ্রীয় সরকারের পাশে থেকেছেন। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়করা এই ঘটনার তীব্র বিরোধিতা করছেন। সেই কারণে বিধানসভাতেই শাসক ও বিরোধী বিধায়করা তরজায় জড়িয়ে পড়েছিলেন।