সংক্ষিপ্ত
- পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি রুখতে তৎপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
- বাজারে হানা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
- দোকানে গিয়ে পেঁয়াজের দাম নিয়ে খোঁজ
- কালোবাজারি রুখতে বার্তা বিক্রেতাদের
টাস্ক ফোর্স, পুলিশ, এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ ব্যর্থ হয়েছে। এবার পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে নিজে বাজারে হানা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পেঁয়াজের কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে দাম বাড়ানো হচ্ছে কি না, তা যাচাই করতে নিজেই এ দিন সকালে ভবানীপুরের যদু বাবুর বাজারে হানা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাজারে ঢুকেই পর পর শাক, সবজির দোকানে গিয়ে পেঁয়াজ, আলুর মতো বিভিন্ন তরিতরকারির দাম জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। বিশেষত পেঁয়াজের দাম এতটা বেশি কেন, তা জানতে চান মমতা। খুচরো বিক্রেতারা কোথা থেকে, কত দামে পেঁয়াজ কিনছেন, সেই সমস্ত তথ্যও সংগ্রহ করেন তিনি। বাজারের বাইরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলার পরে সোজা বাজারের ভিতরে যেখানে আলু, পেঁয়াজ মজুত করে রাখা হয়, সেখানে চলে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাইকারি বাজারে কেজি প্রতি কত টাকা করে পেঁয়াজ কিনছেন ব্যবসায়ীরা, সেই খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী। বাজারের ভিতরে ঢুকে মুখ্যমন্ত্রী দেখেন, সেখানে প্রচুর পেঁয়াজের বস্তা মজুত করা রয়েছে। অবাক হয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, 'তোমাদের এখানে এত পেঁয়াজ মজুত করা আছে, তার পরেও পেঁয়াজের এত দাম কেন?'
আরও পড়ুন- বিনা পয়সায় এক কেজি করে পেঁয়াজ, বর্ধমানে মানতে হলো ছোট্ট শর্ত
আরও পড়ুন- চোরের কাছেও অমূল্য রতন, ভাঙড়ে জানালা ভেঙে পেঁয়াজ চুরি
কোনওভাবেই যাতে পেঁয়াজের কালোবাজারি না হয়, বিক্রেতাদের সেই নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি সুফল বাংলার মাধ্যমে যদুবাবুর বাজারেও কেজি পিছু ৫৯ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রির নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার থেকেই সরকারি সুফল বাংলার প্রায় সাড়ে নশো বিক্রয়কেন্দ্র থেকে ন্যায্য় মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছে রাজ্য় সরকার। এ দিন খড়্গপুরে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিক্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়িয়ে এগারোশো করা হচ্ছে। ন্যায্য় দরে পেঁয়াজ বিক্রির জন্য সরকার কেজি পিছু পঞ্চাশ টাকা করে ভর্তুকি দিচ্ছে বলে সরকারি সূত্রে খবর। সাধারণ মানুষের স্বার্থে লভ্যাংশ কমিয়ে পেঁয়াজ বিক্রির জন্যও এ দিন বিক্রেতাদের অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী।