সংক্ষিপ্ত
- মুরগির মাংস বিক্রি করতে পেঁয়াজ ফ্রি দিচ্ছেন শহরের দোকানিরা
- করোনা আতঙ্কে বিক্রি হচ্ছে না মুরগী, পেঁয়াজ-মুরগীই হল দোসর
- শহরে, এক কেজি মুরগির মাংস কিনলে মিলছে ২৫০ গ্রাম পেঁয়াজ
- পোলট্রি ফেডারেশনের মত, মুরগির সঙ্গে করোনার সম্পর্ক নেই
মুরগির মাংস বিক্রি করতে পেঁয়াজ ফ্রি দিচ্ছেন শহরের দোকানিরা। এদিকে কিছু আগেও যে পেয়াজ অগ্নিমূল্য় ছিল, যার দরুণ মাংস রান্না হবে কিসে বাঙালির মাথায় হাত পড়েছিল। আর এখন সেই পেঁয়াজ আর মুরগীই দোসর হল। করোনা আতঙ্কে বিক্রি হচ্ছে না মুরগী। আর সেই কারণেই ক্রেতা টানতে পেঁয়াজের লোভ দেখাচ্ছে বিক্রেতারা।
আরও পড়ুন, কলকাতা মেডিক্য়াল কলেজের বন্ধ ঘর থেকে মিলল কাটা পা, শিহরিত হাসপাতাল কর্মীরা
সূত্রের খবর, শহর কলকাতার অধিকাংশ জায়গাতেই মুরগির দাম নিম্নমুখী। এদিকে এক সপ্তাহ আগেও যা ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। এক সপ্তাহ পর কেজিতে দাম কমেছে প্রায় অর্ধেক। কিন্তু তাতেও ক্রেতা মিলছে না। এই অবস্থায় বিক্রেতাদের কেউ কেউ নতুন পথ নিয়েছেন। এক কেজি মুরগির মাংস কিনলে মিলছে ২৫০ গ্রাম পেঁয়াজ। অপরদিকে বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের সুকচর বাজারে এক মাংস বিক্রেতা মাংস বিক্রি বাড়াতে ১ কেজি মাংসের সাথে ২৫০ গ্রাম পেঁয়াজ বিনামূল্য দিচ্ছেন। তবুও আতঙ্ক কাটিয়ে ক্রেতাদের দেখা নেই। বিনামুল্যে পেয়াজের জন্য দোকান চত্বরে দু একজন ক্রেতা মাংস কিনতে দেখা যায়। যেখানে প্রতিদিন এই দোকান থেকে প্রায় ১০০ কেজি উপরে মাংস বিক্রি হয় সেখানে বিক্রি প্রায় বন্ধের মুখে চরম দুরবস্থা মুরগির মাংস ব্যবসায়ীদের।
আরও পড়ুন, জোর করে রং দিলে ঢুকতে হবে শ্রীঘরে, আগাম বার্তা লালবাজারের
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য়, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে নানাবিধ খবর ছড়াচ্ছে নেটদুনিয়ায়। যার অধিকাংশই ভিত্তিহীন।সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ কেউ ছড়িয়েছেন, ব্রয়লার মুরগি থেকে করোনাভাইরাস ছড়াচ্ছে। কিছু ভুয়ো ভিডিয়োও দেওয়া হয়েছে। যা দেখে সাধারণ মানুষ অযথা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। এদিকে পশ্চিমবঙ্গ পোলট্রি ফেডারেশনের বক্তব্য, মুরগির সঙ্গে করোনার যে সম্পর্ক নেই, এ নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় প্রাণিসম্পদ মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে। তবুও লোকে আশ্বস্ত হতে পারছেন না। ফলে, চাহিদার তেমন উন্নতি হয়নি। রাজ্যের কাছেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। ফেডারেশনের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, গুজবের জেরে শেষ তিন সপ্তাহে রাজ্যে জ্যান্ত ব্রয়লার মুরগির বিক্রি কমেছে ৪০ শতাংশ। উল্লেখ্য়, দুই বছর আগে ভাগাড়কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পরে পোলট্রি শিল্পে প্রভাব পড়েছিল। রাজ্যে মুরগির মাংসের চাহিদা এক ধাক্কায় অনেকটা কমে গিয়েছিল। সেসময়ে পোলট্রি শিল্পে ক্ষতি হয়েছিল প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। এ বার সেই ক্ষতিকেও ছাপিয়ে যেতে পারে করোনা-আতঙ্ক।
আরও পড়ুন, ফের মেট্রোয় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা তরুণীর, ব্যহত মেট্রো পরিষেবা