সংক্ষিপ্ত
সুজিতের স্ত্রীর মৃত্যু হয়। স্ত্রী ব্লাড ক্যান্সারে ভুগছিল। তারপর থেকেই অসুস্থ সুজিত। খিচুনির সমস্যা দেখা দিয়েছিল। আর সেই কারণেই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই তাঁকে মল্লিক বাজারের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
এক দুই মিনিট নয় টানা প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে নিউরো সায়েন্স হাসপাতালের কার্নিস থেকে তাঁকে নামানোর জন্য টানাপোড়েন চলছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। কার্নিশ থেকে পড়েগিয়েছিলেন রোগী। সেই অবস্থায় কিছুক্ষণ ঝুলে ছিলেন হাত দিয়ে ধরে থেকে। অবশেষে হাত ফসকে পড়ে যান। সূত্রের খবর আশঙ্কা জনক অবস্থায় সেই রোগীর চিকিৎসা চলছে। যমে মানুষে টানাটানি চলছে তাঁকে নিয়ে। তিনি সুজিত অধিকারী। বয়স ৩২ এর যুবককে কয়েক দিন আগেই মল্লিক বাজারের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। খুব তাড়াতাড়ি তাঁকে ছেড়ে দেওয়ারও কথা ছিল। তেমনই জানিয়েছেন তাঁর আত্মীয় সুভাষ দাস। কিন্তু বাড়ি যাওয়া হল না। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা যমে মানুষে টানাটানি চলার পর অবশেষে প্রাণ চলে গেল সুজিত অধিকারীর।
সুভাস দাস আরও জানিয়েছেন মাত্র এক মাস আগে সুজিতের স্ত্রীর মৃত্যু হয়। স্ত্রী ব্লাড ক্যান্সারে ভুগছিল। তারপর থেকেই অসুস্থ সুজিত। খিচুনির সমস্যা দেখা দিয়েছিল। আর সেই কারণেই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই তাঁকে মল্লিক বাজারের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তিনি আরও জানিয়েছেন এর আগে কোনও দিন এমন অস্বাভাবিক আচরণ করতে দেখা যায়নি সুজিতকে। দিব্য স্বাভাবিক ছিল সে। তাহলে স্ত্রীর মৃত্যুর পরই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে? উঠতে শুরু করেছে সেই প্রশ্ন।
তবে সামনে এসেছে আরও কিছু তথ্য যা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে মানসিক সমস্যা বা হতাশ হওয়া কোনও অস্বাভাবিক বিষয় ছিল না সুজিতের কাছে। কারণ তাঁর বাড়িতে রয়েছে ৯৭ বছরের ঠাকুমা আর দুই সন্তান। এক জনের বয়স ৭ আর অন্য জনের বয়স আড়াই। স্ত্রী ছিলেন অসুস্থ। স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য প্রচুর টাকা ধার করেছিলেন সুজিত। যার পরিনাণ প্রায় ২৫ লক্ষ। লোহার ব্যবসা করতেন তিনি। স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য আগুপিছু চিন্তা না করেই ধার করে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু স্ত্রীকে বাঁচাতে পারেননি। আর সেই কারণে দেনায় ডুবে যাওয়ায় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। তেমনই মনে করেছেন একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ।
সুজিতের ঠাকুমা জানিয়েছেন ছোটবেলাতেই মা হারিয়েছেন সুজিত। ঠাকুমা আঁকড়ে ধরে বড় হয়েছিল। স্ত্রী অন্ত প্রাণ ছিল। স্ত্রীর মৃত্যু মেনে নিতে পারেনি। তারওপর দেনার জাহাজ। স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকেই সুজিতের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়ে বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। সব প্রশ্নেরই উত্তর মিলবে সুজিতের সুস্থ হওয়ার পর। তবে কী কারণে সুজিত তাঁর দুই সন্তান রেখে এমন কাণ্ড ঘটালেন তা আর জানা গেল না।
প্রচুর টাকা পয়সা হাতে আসবে কিছুদিনের মধ্যেই , স্বপ্নে যদি টিকটিকি আর এই জিনিসগুলি দেখেন
শিশু হাসপাতালে আগুন, দমকল বাহিনীর তৎপরতায় প্রাণ বাঁচল ১৩ নবজাতকের
'ভগবান শিবের মতই কণ্ঠে বিষ ধারণ করেছেন মোদী', গুজরাট দাঙ্গায় ক্লিনচিট নিয়ে বললেন অমিত শাহ