সংক্ষিপ্ত
বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানির জন্য পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে ন্যাশানাল কোর্টে পেশ করা হয়। গত ১৪ দিনের তদন্তের ভিত্তিতে উঠে আসা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদালতে পেশ করেন ইডির আধকারিকরা।
"নো বডি উইল বি স্পেয়ারড", আদালত থেকে বেরোনোর আগে ইঙ্গিত পার্থর। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে উঠে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। গত কয়েকদিনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ফার্ম হাউজ ও মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত তথ্য এসেছে ইডির হাতে। বৃহস্পতিবারের শুনানিতে আদালতে পেশ করা হল একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি।
বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানির জন্য পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে ন্যাশানাল কোর্টে পেশ করা হয়। গত ১৪ দিনের তদন্তের ভিত্তিতে উঠে আসা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদালতে পেশ করেন ইডির আধকারিকরা। এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে কোর্টে তোলা হলে প্রায় এক মিনিট হাতজোড় করে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রাক্তন মন্ত্রী। তাঁরপর আদালতের নির্দেশে তাঁকে ফের লকআপের দিকে নিয়ে যাওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে মুখ ঘুরিয়ে তিনি বলেন,"কেউ ছাড় পাবে না।" তিনি ঠিক কী ইঙ্গিত দিতে চাইলেন তা স্পষ্ট না হলেও পার্থর এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মনে করা হচ্ছে।
পার্থ-অর্পিতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ৫০ থেকে বেড়ে দাঁড়ালো ৬০-এ। শুধু তাই নয় তদন্তে হদিশ মিলেছে আরও একাধিক সম্পত্তির। এর মধ্যে ৩০ টি সেল কোম্পানি, একটি ট্রাস্ট ও একটি স্কুলের কথাও উল্লেখ রয়েছে। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত তথ্য পেশ করা হয় আদালতে।
আরও পড়ুন - ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবসে কারারুদ্ধ পার্থ, জেলে বসেই স্মৃতি রোমন্থন করছেন প্রাক্তন মন্ত্রী
ইডির দাবি কালো টাকা সাদা করার জন্য এই সেল কোম্পানিগুলিকজে ব্যবহার করা হত। এই ৩০ টি সেল কোম্পানির নামে রয়েছে মোট ৬০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। এছাড়া 'পাবলিক চ্যারেটেবল ট্রাস্ট' নামে একটি ট্রাস্টের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। এই ট্রাসটের আন্ডারে 'বি সি এম ইন্টারন্যাশানাল' স্কুল নামক একটি স্কুলও রয়েছে। ইডির সরাসরি অভিযোগ এই স্কুলেই কালো টাকা রুট করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন - কোন পথে চাকরি পার্থর দেহরক্ষীর আত্মীয়, বন্ধুদের? সিবিআইকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ হাইকোর্টের
ইডির গত ১৪ দিনের তদন্তে হদিশ মিলেছে পার্থ-অর্পিতার আরও একটি জয়েন্ট প্রপার্টির। উত্তর ২৪ পরগণার ডোবাগাছি এলাকায় হদিশ মিলেছে আরও একটি ফার্ম হাউজের। এই ফার্ম হাউজও পার্থ-অর্পিতার জয়েণ্ট প্রপার্টি বলেই দাবি ইডির।
অর্থাৎ সব মিলিয়ে ইডির তদন্তে নতুন করে হদিশ মিলেছে ৬০ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ৩০টি সেল কোম্পানি, একটি ট্রাস্ট এবং তার আন্ডারে একটি স্কুলের। এছাড়া হদিশ মিলেছে আরও একটি ফার্ম হাউজের।