সংক্ষিপ্ত
সুকন্যার নামের একটি ফেসবুক প্রোফাইলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দুটি চাকরি করেন তিনি। একটি বীরভূমের ‘ভোলে বাবা রাইস মিল’ নামে এক সংস্থায়। অপরটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা দফতরে।
একে আইনি প্যাঁচে জর্জরিত কেষ্ট তারওপর একের পর এক অভিযোগ মেয়ে সুকন্যাকে ঘিরে। আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পত্তি ও টেট না দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগের পর এবার একাধিক চাকরি করার অভিযোগ উঠল কেষ্ট-কন্যার বিরুদ্ধে। সুকন্যাকে ঘিরে একের পর এক রহস্যের উন্মোচন ক্রমেই চাপ বাড়াচ্ছে ঘাসফুল শিবিরে।
গোরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রতর বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। তাঁর বাড়ি থেকে প্রাপ্ত নথি থেকে জানা গিয়েছিল বিপুল সম্পত্তির মালিক অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। এই অভিযোগের তদন্ত চলাকালীন বুধবার হাইকোর্টে সুকন্যার নামে টেট না দিয়ে প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরই মধ্যে আবার তাঁর একটি ফেসবুক প্রোফাইল থেকে জানা যায় একই সঙ্গে দুটি চাকরি করেন তিনি একটি সরকারি অপরটি বেসরকারি।
সুকন্যার নামের একটি ফেসবুক প্রোফাইলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দুটি চাকরি করেন তিনি। একটি বীরভূমের ‘ভোলে বাবা রাইস মিল’ নামে এক সংস্থায়। অপরটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা দফতরে। তাঁর ফেসবুকে আপলোড করা তথ্য অনুযায়ী দু'টি চাকরিই তিনি পান ২০১৬ সালে। ২০১০ সালে বোলপুর গার্লস হাই স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করে চাকরিতে যোগ দেন তিনি। যদিও উক্ত ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি ভেরিফায়েড নয়।
সুকন্যার টেট না দিয়েই প্রাথমিক স্কুলে চাকরির বিষয় প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে একটি সংবাদ সংস্থা থেকে প্রশ্ন করা হলে তিনি স্পষ্ট জানান, ‘‘উনি কবে চাকরি পেয়েছেন? উনি যে স্কুলে পড়ান তাই জানতাম না। আমি খোঁজ নিয়ে দেখব।’’
আরও পড়ুন - ঘরে বসেই মাইনে নেন 'দিদিমণি' সুকন্যা, অনুব্রতর মেয়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ
শুধু তাই নয় গুরুতর অভিযোগ উঠেছে বোলপুর ওয়েস্ট সার্কেলের কালিকাপুর প্রাইমারি স্কুলের বিরুদ্ধেও। স্কুলের একজন রেজিস্টারের খাতা অনুব্রতর বাড়িতে নিয়ে এসে সুকন্যার হাজিরা নিয়ে যেতেন বলে অভিযোগ আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের।
উল্লেখ্য, বুধবার অনুব্রতর বোলপুরের বাড়িতে সুকন্যাকে সিবিআই আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদ করলে তদন্তকারীদের সঙ্গে বিশেষ কথা বলতে চাননি অনুব্রত-কন্যা।
আরও পড়ুন - অনুব্রত-কন্যা সুকন্যাকে জেরা করার শুরুতেই ধাক্কা, আজ তাঁর মন ভালো নেই