সংক্ষিপ্ত
- রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা ছড়াচ্ছেন মিঠুন
- মিঠুনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের তৃণমূলের
- হাইকোর্টে পাল্টা মামলা দায়ের করলেন মিঠুন
- তৃণমূলের আর্জি খারিজের দাবিতে মামলা করেন তিনি
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির তারকা প্রচারক ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। প্রচারের সময় নিজের চলচ্চিত্রের একাধিক সংলাপ বলতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে। যা নিয়ে বিস্তর আলোচনাও হয়েছিল। আর এবার সেই সংলাপ নিয়েই আইনি জটিলতায় জড়িয়ে পড়লেন 'মহাগুরু'।
উত্তর কলকাতার যুব তৃণমূলের সদস্যরা কয়েক মাস আগেই মিঠুনের বিরুদ্ধে মানিকতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, ভোট পরবর্তী হিংসায় মদত দিচ্ছেন মিঠুন। আর এবার সেই মামলা খারিজের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে পাল্টা মামলা দায়ের করলেন তিনি। তাঁর দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই তাঁর বিরুদ্ধে এই ধরণের মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগের কোনও সত্যতা নেই। উত্তর কলকাতা যুব তৃণমূলের সদস্যরা মিথ্যা অভিযোগ করেছে।
গত মাসেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট শেষ হয়েছে। আর ভোটের প্রচারে বিজেপির হয়ে ঝড় তুলেছিলেন মিঠুন। প্রচারে তাঁকে দেখতে মানুষ ভিড় করলেও ভোটবাক্সে অবশ্য মিঠুন ম্যাজিক চোখে পড়েনি। বিপুল ভোট পেয়ে তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। আর তারপরই রাজ্যজুড়ে শুরু হয় ভোট পরবর্তী হিংসা।
আর এই হিংসা ছড়ানোর জন্য মিঠুনকেই দায়ী করেছে তৃণমূল। সেই মর্মে তাঁর বিরুদ্ধে মানিকতলা থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। উল্লেখ্যে, ‘মারব এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানে’, ‘জাত গোখরো’, মিঠুনের এমন নানা সংলাপ নিয়ে আপত্তি তুলে মানিকতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করে তৃণমূল। তাঁর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, উস্কানিমূলক বক্তৃতা করে শান্তিভঙ্গের চেষ্টা, বিভিন্ন গোষ্ঠী এবং বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বিদ্বেষ ছড়ানো-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, এই মন্তব্য করার ফলেই রাজ্যে অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে মিঠুনের বক্তব্য, জনতার দাবিতেই তিনি তাঁর ছায়াছবির জনপ্রিয় সংলাপ বলেছেন। এর পিছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য নেই। তাই তৃণমূলের দায়ের করা মামলা খারিজের দাবিতে হাইকোর্টে পাল্টা মামলা দায়ের করলেন তিনি।