সংক্ষিপ্ত
- করোনা সংক্রমণে হাওড়াকে 'হটস্পট' এলাকা ঘোষণা করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী
- আর সেই হাওড়া থেকে আসায় এক প্রসুতিকে ঢুকতেই দেয়নি এনআরএস
- এরপরই চরম প্রসব যন্ত্রনা নিয়ে অসহায়ভাবে বাড়ি ফিরে আসেন ওই তরুণী
- এরপর বাড়ি ফিরে আচমকা প্রসব হয়ে যায় তরুণীর,সদ্যোজাতকে বাঁচানো যায়নি
করোনা রুখতে রাজ্য়ে জুড়ে লকডাউন চলছে। চিহ্নিত করা হচ্ছে হটস্পট। এদিকে তার খেসারত দিতে হল হাওয়ার বাসিন্দা এক সন্তান সম্ভবাকে। হটস্পট এলাকার অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় ওই প্রসুতিকে ঢুকতেই দেয়নি এনআরএস বলে অভিযোগ। এরপরই চরম প্রসব যন্ত্রনা নিয়ে অসহায়ভাবে বাড়ি ফিরে আসেন ওই তরুণী। বাড়ি ফিরে সেখানেই প্রসব হয়। মৃত্যু হয় সদ্যোজাতের। অমানবিকতার চূড়ান্ত অভিযোগ উঠল চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন, করোনার কোপ এবার সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরে, বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি শীর্ষ স্বাস্থ্যকর্তা
জনা গিয়েছে, এনআরএস-এ গিয়েছিলেন সন্তান সম্ভবা হাওড়ার বাসিন্দা ওই তরুণী। চরম প্রসব যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু হাওড়ায় বাড়ি শুনে ওই তরুণীকে প্রসূতি বিভাগে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরে সেখানেই প্রসব হয়, মৃত্যু হয় সদ্যোজাতের। এই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে স্বাস্থ্য ভবন। এনআরএস সূত্রের খবর, শনিবার গাইনি এমার্জেন্সির ছয় নম্বর ইউনিটে যাঁরা ডিউটিতে ছিলেন, তাঁদের তিন মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হতে পারে বলে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তরুণীর পরিবারের দাবি, তাঁরা হাতজোড় করে অনুরোধ করেন তরুণীকে দ্রুত ভর্তি নেওয়ার জন্য। অভিযোগ, তাঁদের ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চলে যেতে বলা হয়। শত অনুরোধ সত্ত্বেও ভর্তি করানো হয়নি তরুণীকে। অভিযোগ, গাইনি বিভাগের ইমারজেন্সির দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকদের মধ্যে থেকে কেউ সাদা কাগজ এগিয়ে দিয়ে বলেন, 'এখানে লিখে সই করে দিন যে আপনাদের রোগী এবং তার যে সন্তান জন্মাবে তাদের করোনা হলে হাসপাতাল দায়ী নয়।'
আরও পড়ুন,'রেশন-ব্যবস্থায় রাজনৈতিক দখল একটি অপরাধ', টুইটারে ক্ষোভ প্রকাশ রাজ্যপালের
উল্লেখ্য়, হাওড়াকে করোনা সংক্রমণের রেড জোন বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই হাওড়া থেকে এসেছেন বলেই এনআরএস থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হল আসন্নপ্রসবা তরুণীকে বলে অভিযোগ। এরপর বাড়ি ফিরে আচমকা প্রসব হয়ে যায় তরুণীর। সদ্যোজাতকে বাঁচানো যায়নি। ওই তরুণীর অভিযোগ, ওদের জন্য একজন পৃথিবীর আলো দেখতে পেল না। এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ শৈবাল মুখার্জী জানান, তিনি ঘটনার কথা শুনেছেন। অভিযোগ পেয়েছেন। কথা বলেছেন প্রসূতি বিভাগের প্রধানের সঙ্গে। কারা আজ সন্ধ্যায় এমার্জেন্সির দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের নামের তালিকাও চেয়ে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, 'এমনভাবে কোন রোগীকে কোন প্রসূতি মাকে ফেরানো যায় না।কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে অভিযুক্ত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে।'
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্য়ু ক্যানসার রোগীর,আতঙ্ক ছড়াল রাজারহাটের হাসপাতালে
করোনা আক্রান্ত গার্ডেনরিচ থানার শীর্ষ আধিকারিক, স্বাস্থ্য ভবনের তরফে চূড়ান্ত সতর্কতা
করোনা আতঙ্কে ছেলেকে খুন করলেন আশি ছুঁইছুঁই বাবা, মর্মান্তিক এই খবরে বাকরুদ্ধ কলকাতা