সংক্ষিপ্ত
- মুখ্যমন্ত্রীকে রক্তে লেখা চিঠি দিলেন পার্শ্বশিক্ষকরা
- মোট ১২ জনের রক্তে লেখা চিঁঠি পৌছাবে মমতার কাছে
- পার্শ্বশিক্ষকের স্থায়ীকরণ ও বেতন পরিকাঠামোর দাবি
- এই যন্ত্রনা সহ্য না করতে পেরে আত্মহত্যা করছেন অনেকেই
স্থায়ীকরণ এবং বেতন পরিকাঠামোর দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে রক্তে লেখা চিঠি দিলেন পার্শ্বশিক্ষকরা। ঐক্য মঞ্চে উপস্থিত ১২ জন এই চিঠি দিয়েছেন। ১০ বছর অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরেও রাজ্য সরকারের বিন্দুমাত্র কোনও হেলদোল নেই বলে অভিযোগ। আর এই কনকনে ঠান্ডার মধ্য়েই একমাস ধরে অধিকারের রাস্তায় দিন কাটাচ্ছেন পার্শ্বশিক্ষকরা। এবিষয়ে পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চের আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষ 'এশিয়ানেট নিউজ বাংলা'কে দিলেন বিশেষ সাক্ষাতকার।
আরও পড়ুন, 'কাটমানির মতই ভাগাভাগি কেন্দ্রের ভ্যাকসিনও', তৃণমূল নেতাদের তোপ দিলীপের
'জুতো সেলাই থেকে চন্ডীপাঠ'
পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চের আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষ জানিয়েছেন, ২০০৪ এবং ২০০৭ সালের মেরিট লিস্টের মাধ্যমে শিক্ষা দফতরের আন্ডারে আমাদের নিয়োগ করা হয়। আজ ১৬ বছর হল আমরা কাজ করছি। পূর্ণ শিক্ষকের সব দায়িত্বই সামলাচ্ছি আমরা। জুতো সেলাই থেকে চন্ডীপাঠ কী না করেছি আমরা। বিপিএল কার্ডের লিস্ট থেকে শুরু করে, ভোটার-আধার কার্ডের সংশোধন সবই আমরা করছি। এদিকে ১০ বছর অতিক্রান্ত। রাজ্য সরকারের বিন্দুমাত্র কোনও হেলদোল নেই। কিন্তু প্রতিবারই মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় পার্শ্ব শিক্ষকদের স্থায়ীকরণের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু তারপরে আর কোনও কিছু করা হয় না।
যন্ত্রনা সহ্য না করতে পেরে আত্মঘাতী পার্শ্বশিক্ষক
তিনি আরও বলেন, পার্শ্ব শিক্ষকেরা বেতনে যে টাকা পান তাঁতে সংসার চালানো দুঃসাধ্য। প্রাথমিকে ৮,৮০০ টাকা এবং উচ্চ প্রাথমিকে ১১,৩০০ টাকা মেলে। এভাবে পরিবারকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এদিকে একের পর এক পার্শ্ব শিক্ষক এই যন্ত্রনা সহ্য না করতে পেরে আত্মহত্যা করছেন। উল্লেখ্য চলতি মাসেই আত্মঘাতী হয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের পার্শ্বশিক্ষক বছর পঞ্চাশের দুলাল চন্দ্র দে।
আরও পড়ুন, ভ্যাকসিন নিতেই অসুস্থ কলকাতার এক নার্স, NRS-র ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে তিনি চিকিৎসাধীন
রক্তে লেখা চিঠি
শনিবার পার্শ্ব শিক্ষক ঐক্য মঞ্চের আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষ ইনজেকশনের সিরিঞ্জ দিয়ে শরীরের রক্ত বার করে রাজ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের উদ্দেশ্য়ে লেখেন। এছাড়াও চন্দ্রচূড় গঙ্গোপাধ্যায়, প্রমিতা বাগচি সহ মোট ১২ জনের রক্ত দিয়ে লেখা চিঁঠি পৌছাবে মমতার কাছে। চিঠিতে লেখা,' দিদি আমাদের বাঁচান। এই আমাদের কাতর অনুরোধ। কেউবা তাঁর রক্ত দিয়ে লিখেছেন, ভাতা নয়, দিদি বেতন চাই।' পাশপাশি, কেউ লিখেছেন আমার পরিবারকে রক্ষা করুন। ভগীরথ ঘোষ আরও বলেন, 'আমরা আজ একমাস ধরে এই শীতের মধ্য়ে বিকাশ ভবনের সামনের রাস্তায় কাটাচ্ছি। আমরা আমাদের অধিকার ফিরে পেতে চাই।'