সংক্ষিপ্ত
'যারা গণতন্ত্রের কথা বলে আজ তারাই নির্বাচন করাতে দেরি করছে।' আমরা চাই খুব তাড়াতাড়ি নির্বাচনের দিন ঘোষণা করুক কমিশন', বার্তা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।
শুক্রবার উপ নির্বাচনের দাবি নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। এই দলে ছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব এবং মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ,সুব্রত মুখোপাধ্যায় ,শশী পাঁজা সহ চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন, ব্রাত্য বসুর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ, একাধিক ইস্যুতে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের দাবি
এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, 'ভোটের দাবি নিয়ে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরিজ আফতাবকে ডেপুটেশন দিয়েছেন। অবিলম্বে রাজ্যে সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচন করাতে হবে। দুটো বিধানসভা নির্বাচন আর পাঁচটিতে উপনির্বাচন। নির্বাচনের দিল্লি নির্বাচন কমিশনকে তৃণমূলের সাংসদরা ডেপুটেশন দিয়েছিলেন। প্রায় তিন মাস অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে এখনও পর্যন্ত নির্বাচন করা হয়নি। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন করাতে কতটা প্রস্তুত হয়েছে, সংবিধান নিয়ম মেনে সুষ্ঠু নির্বাচন কমিশন কতটা ভূমিকা পালন করেছে। আমরা জানতে চাই। এপ্রিল মাসে যখন করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ নিয়েছিল। নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ করেছিলাম ভোটের দফা কমিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করাতে। তখন নির্বাচন কমিশন আমাদের দাবি মানেননি।' এদিন তিনি আরও বলেছেন,' রাজ্য করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। রাজ্যে তাই অবিলম্বে নির্বাচন করা উচিত। রাজ্য নির্বাচন কমিশন নির্বাচন করাতে এগিয়ে থাকলেও দিল্লি নির্বাচন কমিশন সে ব্যাপারে এখনও কিছু বলছেন না। যারা গণতন্ত্রের কথা বলে আজ তারাই নির্বাচন করাতে দেরি করছে। আমরা চাই খুব তাড়াতাড়ি নির্বাচনের দিন ঘোষণা করুক কমিশন।'
প্রসঙ্গত, রাজ্যের পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের পাশপাশি দুটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণও বাকি আছে। যে পাঁচটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন হওয়ার কথা, এর মধ্যে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের ভোটে লড়ার কথা। কারণ নন্দীগ্রাম থেকে পরাজিত হওয়ার শপথ নেওয়ার ৬ মাসের মধ্যে যে কোনও একটি বিধানসভা কেন্দ্র থেক জয়ী হতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। নভেম্বর মাসে সেই সময় সীমা শেষ হচ্ছে। তাই দ্রুত উপনির্বাচন করানোর পক্ষে তৃণমূল। শাসক দলের যুক্তি, আগে স্থগীত হওয়া দুটি আসনের নির্বাচন করে নেওয়াটাই উচিত। জয়ী দুই বিধায়ক তাতে রাজ্যসভায় ভোট দেওয়ার অধিকার পাবেন। তবে তৃণমূলের এই তৎপরতার কারণ উপনির্বাচন নিয়ে বিজেপির কৌশল। বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য বিজেপির নেতারা সাফ জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এখনই উপনির্বাচন নিয়ে পক্ষে নয় তারা।
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, রাজ্য়ের সর্বনিম্ন সংক্রমণ এই জেলায়, বৃষ্টিতে হারাতেই পারেন পুরুলিয়ার পাহাড়ে
আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও পড়ুন, বনগাঁ লোকাল নয়, জাপানে ঠেলা মেরে ট্রেনে তোলে প্রোফেশনাল পুশার, রইল পৃথিবীর আজব কাজের হদিস