সংক্ষিপ্ত
- কলেজের পরিচালন সমিতির বৈঠকে অপমানিত বৈশাখী
- খোদ শিক্ষামন্ত্রী তাঁকে বেনজির আক্রমণ করেছে বলে খবর
- বৈঠক থেকে চোখে জল নিয়ে বেরিয়ে যান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা
- কী বলে চূড়ান্ত অপমান বৈশাখী বন্দ্য়োপাধ্যায়কে
কলেজের পরিচালন সমিতির বৈঠকে চূড়ান্ত অপমানিত হলেন বৈশাখী বন্দ্য়োপাধ্যায়। খোদ শিক্ষামন্ত্রী তাঁকে বেনজির আক্রমণ করেছে বলে খবর। সূ্ত্র মারফত জানা গিয়েছে, বৈঠক থেকে চোখে জল নিয়ে বেরিয়ে যান কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী।
জল্পনায় জল ঢেলে রত্না বললেন, "বৈশাখীর সঙ্গে বৈঠকের কোনও সম্পর্কই নেই, আমি নিজেই সরে এসেছি".
সরাসরি না জুড়লেও কদিন আগেও সম্পর্কটা ঠিকঠাক ছিল। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে বেশ কয়েকবার দেখা করে হাসিমুখে বেরিয়েছিলেন বৈশাখী বন্দ্য়োপাধ্যায়। কিন্তু বৃহস্পতিবার একেবারে উল্টো ঘটনা। অন্দরের খবর, মিল্লি আল আমিন কলেজের পরিচালন সমিতির বৈঠকে ঢুকতেই বৈশাখীকে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে তুলনা করেন শিক্ষামন্ত্রী। যা শুনে হতবাক হন খোদ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। এখানেই থেমে থাকেনি অপমানের পালা।
ইডেনে যেতেই উড়ে এল মন্তব্য়, ইনি প্রেমে বিশ্বাসী শোভন
জানা গিয়েছে,কলেজের বেশকিছু শিক্ষকের সঙ্গে বনিবানা নেই বৈশাখীর। অতীতেও এ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেছেন তিনি। এদিন সেই বৈঠকে তাঁকে ডেকে অপমান করা হয়। এমনকী সবাইকে চা দেওয়া হলে প্রথমে চায়ের বিষয়ে বলা হয়নি তাঁকে। পরে পার্থ জানিয়ে দেন কলেজের কিছু শিক্ষকের সুযোগ সুবিধা তিনি কমাতে চান। যার তীব্র প্রতিবাদ করেন বৈশাখী। অধ্যক্ষা জানান, বিশ্ববদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী এরকম করা যায় না।
দল ছাড়ার আগেই শোভন-বৈশাখীকে গুরুত্বহীন করলেন দিলীপ
যা শুনে সুর চড়ান শিক্ষামন্ত্রী। সূত্রের খবর, এ বিষয়ে শেষকথা বলবেন তিনিই-তা জানিয়ে দেন শিক্ষামন্ত্রী। যা শুনে বৈশাখী বিরোধী গোষ্ঠী হাসতে শুরু করে। আবভাবে বুঝিয়ে দেন, শিক্ষামন্ত্রীর কথায় খুশি তাঁরা। পরে বৈশাখীর আশায় শেষ পেরেকটা পোঁতেন পার্থবাবু। তিনি জানিয়ে দেন বৈশাখীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে অপমানজনক কথা বলা ব্য়ক্তিকেই মিল্লি আল আমিন কলেজে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসাচ্ছেন তিনি।
কালীঘাটে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, নবান্নে মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে বৈশাখীর বৈঠক ভালো চোখে নেননি পার্থবাবু। কদিন আগেই বেহালায় শোভনের জায়গায় তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়কে প্রচারের মুখ করেন পার্থবাবু। কিন্তু মমতার সঙ্গে বৈশাখীর বৈঠকের পরই বদলে যায় চিত্র। নিজেই ওই পদ থেকে সরে যান রত্না। ওই স্থানে আসেন শোভন চট্টোপাধ্য়ায় ঘনিষ্ঠ সুশান্ত ঘোষ। মনে করা হচ্ছে, যা ভালো চোখে দেখেননি তৃণমূলের মহাসচিব। এদিন কলেজের পরিচালন কমিটির বৈঠকে তার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
নিজে এ নিয়ে মুখ খুলেছেন বৈশাখীও। তিনি জানান কলেজকে ভালোবাসেন তিনি। তাঁর অনেক বকেয়া রয়েছে। যা নিয়ে পার্থবাবুর সঙ্গে কথা হয়। তিনি যে এমন ব্যবহার করবেন তা বুঝতে পারেননি। জানা গিয়েছে, মিটিং থেকে চোখে জল নিয়ে বেরোনোর সময়ই বৈশাখী নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েননি শিক্ষামন্ত্রী। সবার সামনেই তিনি বলেন, এবার তাঁর বিরুদ্ধে নবান্নে অভিযোগ জানাতে চললেন বৈশাখী।