সংক্ষিপ্ত
রবিবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর আপাতত পার্থ আপাতত স্থিতিশীল রয়েছেন বলেই জানানো হয়। দুপুর আড়াইটা নাগাদ নিজাম প্যালেসে আধিকারিকদের একটি দলের সঙ্গে প্রবেশ করেন চিকিৎসক। বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত নিজাম প্যালেসে থাকেন তিনি।
নিয়মমাফিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল না রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। বরং নিজাম প্যালেসেই আনা হল হাসপাতালের যাবতীয় সুবিধা। রবিবার আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ৪৮ ঘন্টা অন্তর নিয়মমাফিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রাক্তন মন্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এদিন নিজাম প্যালেস থেকে বেরই করা হল না পার্থকে। তার বদলে সিবিআই-এর সদর দফতরেই তুলে আনা হল হাসপাতালের যাবতীয় সুবিধা।
রবিবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর আপাতত পার্থ আপাতত স্থিতিশীল রয়েছেন বলেই জানানো হয়। দুপুর আড়াইটা নাগাদ নিজাম প্যালেসে আধিকারিকদের একটি দলের সঙ্গে প্রবেশ করেন চিকিৎসক। বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত নিজাম প্যালেসে থাকেন তিনি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ওই চিকিৎসক জানান, আপাতত স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছেন পার্থ। এর আগে শুক্রবার জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়েছিল প্রাক্তন মন্ত্রীর। প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা ধরে চলেছিল স্বাস্থ্য পরীক্ষা। উল্লেখ্য, সেই দিনই পার্থকে নিজেদের হেফাজতে নেয় সিবিআই। এর ঠিক ৪৮ ঘন্টা পর ফের পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বোর্ডের প্যানেলভুক্ত চিকিৎসক আসেন নিজাম প্যালেসে।
এবার প্রশ্ন উঠছে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালের বদলে সিবিআই-এর দফতরকে কেন বেছে নেওয়া হল? এবিষয় কোনও সদুত্তর মেলেনি সিবিআই-এর তরফ থেকে। তবে পার্থর মন্তব্যের জেরেই এই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন - 'বাড়িতে নজরবন্দি থাকতেও রাজি', আদালতের কাছে 'যে কোনও শর্ত সাপেক্ষে' জামিনের আবেদন পার্থর
প্রসঙ্গত, শুক্রবার নিজাম প্যালেসে যাওয়ার আগে পার্থর রীতিমত কান্নাকাটি জুড়ে দেন পার্থ। গ্রেফতারির পর কার্যত পথে নামলেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ঘিরে থাকে সাংবাদিকদের হাজারো প্রশ্ন। এদিনও তার ব্যাতিক্রম হল না। কিছুটা ঠেলাঠেলির মধ্যেও পড়তে হয় পার্থকে। এরপরই তাঁর সুরক্ষার কথা ভেবেই এই সিবিআই -এর এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদও সিবিআই-এর পক্ষ থেকে পার্থকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। তাই এই সিদ্ধান্ত আচমকাই নেওয়া হচ্ছে বলেও মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন - ফের সিবিআই-এর আতশকাচের নীচে পার্থ-ঘনিষ্ট, মোনালিসা দাসের দাদা মানস দাসের নামে একাধিক সম্পত্তির হদিশ
জেলে থাকাকালীনও বার বার বাইরে বেরোতে চেয়েছেন পার্থ। কিন্তু অনুমতি মেলেনি। এবার সিবিআই-এর হেফাজতেও কার্যত বন্দি দশায় তিনি। তবে কি নিজের কথার ফাঁদে নিজেই আটকে গেলেন পার্থ? এখন দেখার মঙ্গলবারও ফের নিজাম প্যালেসেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় কি না পার্থর।
আরও পড়ুন - 'পার্থ-অনুব্রত দলের পচে যাওয়া অংশ', জহর সরকারের মন্তব্যে অস্বস্তি বাড়ছে ঘাসফুল শিবিরে