সংক্ষিপ্ত

 

  • পেট্রোল-ডিজেলের দাম বেড়ে নাভিশ্বাস উঠেছে
  • দাম বাড়িয়ে চলেছে রাষ্ট্রায়ত্ত  তেল সংস্থাগুলি 
  • কার্যত লকডাউনে মূল্যবৃদ্ধিতে দিশেহারা বাঙালি 
  •  করোনার প্রভাব পড়েছে দেশের  অর্থনীতিতে 
     


কার্যত লকডাউনের মাঝে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বেড়ে নাভিশ্বাস উঠেছে শহরবাসীর। পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়িয়ে চলেছে রাষ্ট্রায়ত্ত  তেল সংস্থাগুলি। লিটারপ্রতি পেট্রোলের দাম বাড়ার ফলে কলকাতায়  পেট্রোলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে লিটার প্রতি  ৯৪ টাকা ৭৬ পয়সা।  

আরও পড়ুন, কলকাতায় কোভিডে সংক্রমণ নামল ৮০০ এর নীচে, বাড়ল সুস্থতার হার, দেখুন ছবি 

 
  রাজ্যে কোভিড সংক্রমন নাগালের বাইরে যেতেই কার্যত লকডাউন করে দেওয়া হয়। এদিকে আগের বছরই দীর্ঘ লকডাউনে বাধ্য হয়ে অনেকেই বাইক-চার চাকা কিনেছেন। তবে এবছর ফের একই পরিস্থিতি রোজগার কম হলেও জ্বালানীর মূল্যবৃদ্ধিতে দিশেহারা বাঙালি। উল্লেখ্য, চেন্নাইতে পেট্রোলের দাম দাম বেড়ে হয়েছে  ৯৬ টাকা ২৩ পয়সা এবং ডিজেলের দাম ৯০ টাকা ৩৮ পয়সা।  দিল্লিতে পেট্রোলের দাম বেড়ে হয়েছে লিটারপ্রতি ৯৪.৭৬ টাকা আর ডিজেলের দাম ৮৫.৬৬ টাকা। মুম্বইয়ে ১০০ ছাড়িয়েছে পেট্রোলের দাম। আজ দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে লিটারপ্রতি ১০০.৯৮ টাকা আর ডিজেলের দাম বেড়ে হয়েছে লিটারপ্রতি ৯২.৯৯ টাকা। এর আগে ১ জুন লিটারপ্রতি পেট্রোলের দাম ২৬ পয়সা ও ডিজেলের ২৩ পয়সা বেড়েছিল। এদিকে কলকাতায়, লিটারপ্রতি পেট্রোলের দাম ২৬ পয়সা এবং ডিজেলের দাম ২৮ পয়সা বেড়েছে। এর ফলে কলকাতায়  পেট্রোলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে লিটার প্রতি  ৯৪ টাকা ৭৬ পয়সা।   এবং ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ৮৮ টাকা ৫১ পয়সা ।
 

আরও পড়ুন, রাতের বৃষ্টিতেও কমল না গরম, তাপমাত্রা স্বাভাবিকের ৩ ডিগ্রি উপরে কলকাতায়, কবে আসবে বর্ষা 


প্রসঙ্গত,  দেশের পাঁচ রাজ্যে একুশের নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলাকালীন আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের  মূল্যবৃদ্ধি হয়। তবে, সেই সময় দেশের বাজারে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়েনি। এরপর ২ মে বিধানসভা  ভোটের ফল প্রকাশিত হওয়ার পরই দাম সংশোধিত হতে শুরু করে। তবে করোনা পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে দেশের  অর্থনীতিতে। লকডাউনের জেরে কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির পরিসংখ্যান  অনুযায়ী, গত বছর দেশে করোনা থাবা বসানোর পরই গৃহস্থের আয় ৯৭ শতাংশ কমে গিয়েছে। তার উপর  পেট্রোল-ডিজেলের দাম বেড়ে চলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।  তাই জামাইষষ্ঠীর প্রাক্কালে টান পড়তে পারে মধ্যবিত্তের পকেটে।