সংক্ষিপ্ত

  •  ঋষভের শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তিত চিকিৎসকেরা 
  • চিকিত্‍সকরা জানিয়েছে,তার ফুসফুসে সংক্রমণ বেড়েছে 
  • তার উপর নতুন করে কিডনির সমস্যা দেখা দিয়েছে  
  • তবে দিব্যাংশুর শারীরিক অবস্থার ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে 

পোলবায় পুলকার দুর্ঘটনায় আহত ছাত্র ঋষভ সিংয়ের শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনিত হচ্ছে৷ চিকিত্‍সকরা জানিয়েছেন, তার ফুসফুসে সংক্রমণ বেড়েছে৷ নতুন করে কিডনির সমস্যা দেখা দিয়েছে৷ চিকিত্‍সকরা জানিয়েছেন, ঋষভের প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷ একমো সাপোর্টে থাকলেও শারীরিক অবস্থার উন্নতি আটকে গিয়েছে৷ তাতেই চিন্তায় এসএসকেএম-এর চিকিত্‍সকরা৷ তবে পোলবা দুর্ঘটনায় আরেক ছাত্র দিব্যাংশুর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে৷  বুধবার সে মায়ের ডাকে সাড়া দিয়েছে৷ তার ভেন্টিলেশনের মাত্রা কমানো হয়েছে৷

আরও পড়ুন, আজ বুধবার ভোট শুরু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে, গণনা আগামীকাল

  
 উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে অভিভাবক এবং পড়ুয়া-সহ মোট ১৪ জন পুলকারে চড়ে দিল্লি রোড দিয়ে যাচ্ছিল। স্থানীয়দের দাবি, প্রচণ্ড গতিতে যাওয়ার সময় কামদেবপুরে গাড়িটি দুর্ঘটনায় পড়ে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারের একটি সিমেন্টের পোস্টে সজোরে ধাক্কা মেরে নয়ানজুলিতে পড়ে উলটে যায়। উদ্ধারের পর চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আহতদের। তবে দিব্যাংশু এবং ঋষভ নামে দুই ছাত্রের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। এরপরই রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় গ্রিন করিডরের মাধ্যমে শিশুদের এসএসকেএমে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই আপাতত মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে শিশু দুটি।

আরও পড়ুন, পাওয়ার ব্যাঙ্ক নিয়ে ভোগান্তি কলকাতা বিমানবন্দরে, উড়ান ছাড়তে দেরি


হাসপাতাল সূত্রের খবর, ট্রমা কেয়ার ইউনিটে ভরতি রয়েছে ছোট্ট দিব্যাংশু। তৃণমূল কাউন্সিলর পাপ্পু সিংয়ের ছেলে ঋষভের চিকিৎসা চলছে কার্ডিওথেরাপি ভাসকুলার সার্জারি বিভাগে। দুর্ঘটনার জেরে ফুসফুসে প্রচুর পরিমাণ কাদাজল ঢুকে গিয়েছিল ঋষভের। তাই একমো পদ্ধতিতে আপাতত শ্বাস নিচ্ছে খুদে। তার অবস্থার ক্রমশই অবনতি হয়েছে। এসএসকেএম সূত্রে খবর, নতুন করে কিডনির সমস্যা দেখা দিয়েছে ঋষভের। ফুসফুসের সমস্যাও মেটানো সম্ভব হয়নি। প্লেটলেটও কমছে নতুন করে। রক্তও দেওয়া হয়েছে তাকে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, নতুন করে দিব্যাংশুর শারীরিক অবস্থার কোনও অবনতি হয়নি। ঋষভের শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তিত চিকিৎসকেরা।