সংক্ষিপ্ত

ফের যেনও আরও এক দেবাঞ্জনকাণ্ড শহরে, তফাত শুধু এখানে জাল ভ্যাকসিনের বদলে জাল প্রযুক্তিবিদ্যায়। ওয়েবেল টেকনোলজি লিমিটেডের ভুয়ো ওয়েবসাইট, মেল আইডি খুলে বিধান নগর পৌর নিগমের টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার এক।  

 

ফের যেনও আরও এক দেবাঞ্জনকাণ্ড শহরে। তফাত শুধু এখানে জাল ভ্যাকসিনের বদলে জাল প্রযুক্তিবিদ্যায়। ওয়েবেল টেকনোলজি লিমিটেডের (Webel Technology LTD) ভুয়ো ওয়েবসাইট, মেল আইডি খুলে বিধান নগর পৌর নিগমের টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার এক। গ্রেফতার করল বিধান নগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ (Bidhannagar Cyber Crime Police Station)। জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম চন্দ্রিম বন্দ্য়োপাধ্যায়। দমদম এলাকা থেকে গ্রেফতার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

ওয়েবেল টেকনোলজি লিমিটেডের ভুয়ো ওয়েবসাইট ও মেল আইডি খুলে বিধান নগর পৌর নিগমে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকার প্রতারণা ।এই প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার এক। নাম চন্দ্রিম বন্দ্য়োপাধ্যায়। একুশ সালের আগস্ট মাসের ১৯ তারিখে ওয়েবেল টেকনোলজি ডিরেক্টর ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সোমনাথ চট্টোপাধ্য়ায়।  বিধান নগর সাইবার ক্রাইম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে যে, তাঁদের নাম করে ভুয়ো ওয়েবসাইট ও মেল আইডি খুলে প্রতারণা চক্র চালাচ্ছে দুই ব্যক্তি।জানা গিয়েছে, ওই দুই ব্যক্তির একজন অমিত কুমার মিত্র এবং অপরজন চন্দ্রিম বন্দ্য়োপাধ্যায়। এরা বহু কোম্পানিকে ওয়ার্ক অর্ডার পাইয়ে দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করেছে। এরপর এই গোটা ঘটনা তদন্তে নামে বিধান নগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।এবং জানতে পারে দুটি কম্পানির কাছ থেকে প্রায় এক কোটি সত্তর লাখ টাকা প্রতারণা করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে দমদম এলাকা থেকে এই চন্দ্রিম বন্দ্য়োপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করেছে বিধান নগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। শনিবার তাঁকে বিধাননগর আদালতে তোলা হচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে। 

আরও পড়ুন, সবার অনুপস্থিতির সুযোগে নাবালিকাকে লাগাতার ধর্ষণ, ঘুটিয়ারি শরীফে পুলিশের জালে প্রৌঢ়

আরও পড়ুন, গরু পাচার মামলায় এনামূল হককে গ্রেফতার করল ইডি, দিল্লির জেলা আদালতে আজই করা হবে পেশ

প্রসঙ্গত, একদিকে যেমন ডিজিট্যাল ইন্ডিয়া মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে  প্রযুক্তিরই সুবিধা মানুষ উঠতে বসতে পাচ্ছে। তেমনই অপপ্রয়োগও কম নেই। একের পর এক প্রযুক্তিগত স্ক্যামের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে নতুন বছরেও। কখনও ফোনে ট্রু কলারে নাম আসছে ব্যাঙ্কের। মুহূর্তের অতর্কিতে টাকা সাফ করছে প্রতারকরা। তবে এর জন্য মাথাও খাটাচ্ছে কম নয় তাঁরা। তবে এবারের ওয়েবেলের জাল কাণ্ডে অনেকটাই দেবাঞ্জন কাণ্ডের ছায়া এসে পড়েছে। গতবছর কোভিডের দ্বিতীয় বর্ষে যখন মানুষ হাহাকার করছে ভ্যাকসিনের জন্য, তখনই প্রকাশ্যে আসে দেবঞ্জনের জাল ভ্যাকসিন কাণ্ডে। সেবারেও এতটাই নিপুণ ছিল লোগো-সহ যাবতীয় সব কিছু, যে জাল কিনা তা ধরতেই পারেনি কলকাতা পুরসভাও। তবে শিক্ষিত হওয়ার পর মেধার অপপ্রয়োগ করেছিল দেবাঞ্জন। এবারেও তার আরও এক জ্বলন্ত উদাহরণ চন্দ্রিম বন্দ্য়োপাধ্যায়।