সংক্ষিপ্ত

  • বিজেপি কর্মীর দেহ নিয়ে দিনভর টানাপোড়েন
  • দেহ নিয়ে বিজেপি অফিসে যেতে বাধা পুলিশের
  • এনআরএস হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ না নিয়েই ফেরে পরিবার
  • রাতে পুলিশই দেহ নানুরে পাঠানোর ব্যবস্থা করে
     

নিহত বিজেপি কর্মীর দেহ নিয়ে দিনভর টানা হ্যাঁচড়ার পরও মিলল না সমাধান সূত্র। শেষ পর্যন্ত মৃত স্বরূপ গড়াইয়ের দেহ না নিয়েই এনআরএস হাসপাতাল থেকে ফিরল বিজেপি কর্মীর পরিবার। দেহ নিয়ে বিজেপি রাজ্য দফতরে যাওয়ার অনুমতি পুলিশ না দেওয়ায় সম্ভবত হাইকোর্টে মামলাও দায়ের করতে চলেছে নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবার। শেষ পর্যন্ত পুলিশই রাতে দেহ মর্গ থেকে বের করে নানুরে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। 

এ দিন এনআরএস হাসপাতালে বীরভূমের নানুরে গুলিবিদ্ধ বিজেপি কর্মী স্বরূপ গড়াইয়ের মৃত্যু হয় । গত ৬ সেপ্টেম্বর দলীয় পাতাকা লাগানো নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় তাঁকে গুলি করা হয় বলে অভিযোগ। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে কলকাতা আনার পথেই মৃত্যু হয় ওই বিজেপি কর্মীর। এনআরএস হাসপাতালে তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত হয়। 

বিজেপি-র দাবি ছিল, দেহ নিয়ে দলের রাজ্য দফতরে গিয়ে নিহত কর্মীকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে। সেখান থেকেই দেহ নিয়ে যাওয়া হবে নানুরে। কিন্তু গন্ডগোলের আশঙ্কায় পুলিশ সেই অনুমতি দেয়নি। পুলিশের দাবি ছিল, হাসপাতাল থেকে সরাসরি দেহ বীরভূমে নিয়ে যেতে হবে। রাজ্য দফতরে নিহত কর্মীর দেহ না নিয়ে যেতে দেওয়ার প্রতিবাদে হাসপাতালেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। 

শেষ পর্যন্ত দেহ না নিয়েই ফিরে যায় নিহত স্বরূপ গড়াইয়ের পরিবার। মঙ্গলবারই তারা হয়তো কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করবেন। ঘটনার খবর পেয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও হাসপাতালে যান। পরে তিনি বলেন, রাতে মর্গেই দেহ রাখা হবে। মঙ্গলবার সবদিক খতিয়ে দেখে দেহ বীরভূমে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যদিও বেশি রাতের দিকে নিহত বিজেপি কর্মীর দেহ মর্গ থেকে বের করে পুলিশই নিয়ে নানুরের উদ্দেশ্যে রওনা করিয়ে দেয়। 

বিজেপি-র অভিযোগ, নিহত কর্মীর বাবাকেও মেরে হাত পা ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। তিনি বোলপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত আলো চৌধুরী ও তুফান দাস নামে দু' জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।