সংক্ষিপ্ত

  • রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটি
  • বোমাবাজিতে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়
  • বাইক, ট্যাক্সিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ 
  • ঘটনাস্থলে গেলে হামলার মুখে  পুলিশ আধিকারিক  

ফের একবার রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হল উত্তর২৪ পরগনার কামারহাটিতে। শুক্রবার সন্ধেবেলা বোমাবাজি ঘিরে তীব্র আতঙ্ক ছড়াল এলাকায়। জানা গেছে, বাইক, ট্যাক্সিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। এর পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দেখছে রাজনৈতিক মহল। এলাকাবাসীরা জানান, আতঙ্ক ছড়াতেই গ্রাহাম রোড, দাসুর বাগান এলাকায় দোকানপাট সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে হামলার মুখে পড়ে। জখম হন এক পুলিশ আধিকারিক। পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হতে থাকলে বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা ঘটনাস্থলে যান।

মুখ দেখালেই প্রবেশের অনুমতি, নয়া বিধি কলকাতা বিমানবন্দরে

সূত্রের খবর শুক্রবার সন্ধে নাগাদ আচমকাই বোমাবাজি শুরু হয়ে যায় কামারহাটির গ্রাহাম রোড, ম্যাকেঞ্জি রোড-সহ আশেপাশের এলাকা। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল, এলাকা দখল ঘিরে দুই সমাজবিরোধী গোষ্ঠীর লড়াই চলছে। যার জেরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা ট্যাক্সি এবং গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে অন্তত ৬টি বাইক, দুটি ট্যাক্সি। তবে সময় যত গড়ায়, তত বোঝা যায় যে নিছক সমাজবিরোধীদের সংঘর্ষ নয়। ঘটনায় রাজনৈতিক যোগ আছে। কামারহাটি পুরসভার ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের সঙ্গে অপর একটি গোষ্ঠীর গন্ডগোলের জেরে এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতি।

অনুপ্রবেশ রাজ্য়ের সমস্য়া, মানলেন সাহিত্য়িক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল কামারহাটি। কিন্তু সন্ধের পর থেকে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাঁদের লক্ষ্য করেও দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি করে। তাতে একজন এএসআই গুরুতর জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে পাঠানো হয় ব়্যাফ।

এনআরসি-সিএএ বিরোধিতা নিয়ে বাম-কংগ্রেসকে কটাক্ষ পার্থর, বললেন 'ঘোলা জলে মাছ ধরাছে'

পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা। এদিকে, বোমাবাজি করার পর এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনার পর তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয় এলাকাবাসীর মধ্যে। তাঁরা বাড়ির বাইরে পা রাখতে ভয় পাচ্ছেন। থমথমে এলাকায় নিরাপত্তার স্বার্থে মোড়ে মোড়ে রয়েছে পুলিশ পিকেট।