সংক্ষিপ্ত

  • বাংলায়  প্রবল শক্তি নিয়ে আসতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় 'যশ'  
  • জাতীয় মোকাবিলা বাহিনীর একাধিক দল মোতায়েন
  • উপকূল অঞ্চলে প্রস্তুত উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং নৌসেনা  
  •  সমুদ্র মাছ ধরতে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে


ঘূর্ণিঝড় 'যশ' আছড়ে পড়ার আগেই যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। জাতীয় মোকাবিলা বাহিনীর একধিক দল মোতায়েন করা হয়েছে। উপকূল অঞ্চলে প্রস্তুত উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং নৌসেনা। রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতিতে যাতে বিদ্যুৎ এবং টেলিকম পরিষেবায় অসুবিধা না হয়, সেব্যাপারেও নজর দেওয়া হয়েছে। নবান্নের পাশাপাশি  রাজ্য সরকার অ্যানেক্স বিল্ডিং উপান্নতে একটি বিশেষ কন্ট্রোলরুম খুলেছে।

আরও পড়ুন, আজ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে প্রবল বর্ষণ, এগিয়ে আসছে ঘূর্ণীঝড় 'যশ' 

 

 

ঝড়ের গতিপথ নিয়ে কী বলছে হাওয়া অফিস,  এবার জেনে নেওয়া যাক। রবিবার সকালেই ইতিমধ্যেই  বঙ্গোপসাগরে সুনির্দিষ্ট হয়েছে নিম্নচাপ। সোমবার সকালে এটি ঘূর্ণিঝড় পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ওমান যার নাম দিয়েছে যশ, যার অর্থ দুঃখ। মঙ্গলবার অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিয়ে তা উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে। উপকূলিয় এলাকায় শুরু হবে ঝোড়ো হাওয়া। বুধবার সকালে সম্ভবত এই ঘূর্ণীঝড় পৌছবে ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের কাছে। বিকেল বা সন্ধেয় স্থলভূমিতে প্রবেশ করবে। তখন ঝড়ের গতিবেগ সম্ভবত থাকবে ঘন্টায় ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিমি। উল্লেখ্য, সোমবার থেকেই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টি শুরু হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। মঙ্গলবার দুই মেদিনীপুর,দুই ২৪ পরগণা, হাওয়া, হুগলিতে বৃষ্টি হবে।  

আরও দেখুন, সুপার সাইক্লোন 'যশ'-র মোকাবিলায় কলকাতা বিমানবন্দর, কড়া নজরদারি উপকূলরক্ষী বাহিনীরও 

 


ইতিমধ্য়েই বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। জাতীয় মোকাবিলা বাহিনীর একধিক দল মোতায়েন করা হয়েছে। উপকূল অঞ্চলে প্রস্তুত উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং নৌসেনা।  নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে উপকূলীয় এলাকার নীচু অঞ্চলের বসবাসকারীদের। রয়েছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী. সিভিল ডিফেন্সের দলও। উপকূলবর্তী জেলায় করা হয়েছে আশ্রয় শিবির। শুকনো খাবার,পানীয় জল, ত্রিপলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কলকাতায় পুলিশ, সেন পুরসভা সহ বিভিন্ন দফতরের যৌথ কমান্ডও প্রস্তুত। পুরো ব্যবস্থায়  নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। প্রস্তুতি নিয়ে ইতিমধ্য়েই রবিবার বৈঠকও করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অপরদিকে রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতিতে যাতে বিদ্যুৎ এবং টেলিকম পরিষেবায় অসুবিধা না হয়, সেব্যাপারেও নজর দেওয়া হয়েছে। 

আরও পড়ুন, আসছে সুপার সাইক্লোন 'যশ', পাম্পিং স্টেশন পরিদর্শনে নামল কলকাতা পুরসভা, দেখুন ছবি 

 

 

নবান্নের পাশাপাশি  রাজ্য সরকার অ্যানেক্স বিল্ডিং উপান্নতে একটি বিশেষ কন্ট্রোলরুম খুলেছে। সেখান থেকেই বুধবার রাত জেগে  প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সব রকম ব্যবস্থার তদারকি করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  ১০৭০ এবং ০৩৩-২২১৪৩৫২৬ নম্বরে ফোন করে সেই কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণে রুখতে রাজ্য চলছে রীতমত কঠোর লকডাউন চলছে। এই অবস্থায় লকডাউন বিধি সামান্য শিথিল করে শুরু হয়েছে প্রয়োজনীয় পণ্য পরিষেবা। একই সঙ্গে কৃষি পণ্য সরানোর কাজও শুরু হয়েছে।প্রাকৃতির তাণ্ডবের কারণে করোনা আক্রান্তের চিকিৎসার যাতে কোনও ব্যাঘাত না ঘটে সেদিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। অক্সিজেনসহ করোনা চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে কোভিড হাসপাতালগুলিতে।