সংক্ষিপ্ত

'মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা হোক',  মৃত BJP নেতার ইস্যুতে পুলিশের 'আচরণ' নিয়ে ক্ষোভ উগরে ছবি পোস্ট প্রিয়াঙ্কার।শুক্রবার গৌর ঘোষ রোডে প্রিয়াঙ্কার হয়ে প্রচার করতে এসে এই ঘটনায় ধিক্কার জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতা সম্বিৎ পাত্রও। 

শুক্রবার ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেছেন ভবানীপুরের প্রার্থী  প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, যেখানে  প্রিয়াঙ্কাকে হাত ধরে সরানোর চেষ্টা করছেন ডিসিপি। এই ছবি প্রকাশ্যে এনে এদিন গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন প্রিয়াঙ্কা।

আরও পড়ুন, মৃত BJP প্রার্থীর দেহ নিয়ে বিক্ষোভের জের, সুকান্ত-প্রিয়াঙ্কা-অর্জুনদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের
প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল বলেছেন,'তৃণমূলের হিংসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর সময়, ডিসিপি আমার সঙ্গে ঠিক এমনই আচরণ করেছেন। আর তারপর পুলিশ আমার বিরুদ্ধেই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছে।  পাশাপাশি ভোটপরবর্তী হিংসায় বিজেপি প্রার্থী মানস সাহার মৃত্যুতে   'মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা হোক' বলেও হুঁশিয়ারি ছুড়েছেন এদিন প্রিয়ঙ্কা। এপ্রসঙ্গে বিজেপির নব নিযুক্ত রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও বলেছেন, '   (CM Mamata Banerjee) মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ আমাদের বাধা দেয়। ডিসি সাউথ আকাশ মাঘারিয়া প্রথমেই মিডিয়ার উপর হামলা চালায়। তাদের সরিয়ে দেওয়ার পর প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল ও আমাদের ৩ সাংসদের উপর হামলা হয়। জ্যোতির্ময় সিং মাহাতর নিরাপত্তারক্ষীর গলা চিপে ধরেছিলেন। নিরপেক্ষ সরকার হলে ওর বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। এবং কোনও মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে  মহিলা পুলিশ নেই। আমাদের প্রার্থীকে টানা হিচড়া করে পুরুষ পুলিশ৷', বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

আরও পড়ুন, 'মৃত মানুষকে নিয়ে নাটক করছে BJP', ভবানীপুরে প্রচারে এসে বিস্ফোরক ফিরহাদ

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে মগরাহাটের   বিজেপি প্রার্থী মানস সাহার (BJP Candidate Manas Saha) মৃতদেহ (Dead Body) নিয়ে বিজেপির  মিছিল শুরু হতেই ভয়াবহ পরিস্থিতি শুরু হয়। ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশের বিশালবাহিনী।  দ্রুত গিয়ে বিজেপি নেতাদের সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।রাস্তায় বসে পড়ে পথ অবরোধ করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার , অর্জুন সিংহ, ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। বুধবার মানস সাহার মৃত্যু হয় এবং বৃহস্পতিবার তাঁর শেষ কৃত্য ছিল। তাঁর দেহ প্রথমে কলকাতার বিজেপির অফিসে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে বিজেপি নেতারা তাঁর দেহ নিয়ে মিছিলের পরিকল্পনা করেন। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে  বিজেপি প্রার্থী মৃতদেহ নিয়ে বিজেপির বিক্ষোভের জেরে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে কালীঘাট থানার পুলিশ।  সুকান্ত মজুমদার, প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল,  অর্জুন সিং সহ আরও একাধিক বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৩, ১৪৫, ১৪৭,২৮৩, ৩৫৩ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। যদিও বিজেপির অভিযোগ, পুলিশ মৃতদেহের দখল নেওয়ার চেষ্টা করছিল, তাই এই অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। 

আরও পড়ুন, Mainul Haque: অভিষেকের 'হাত' ধরেই তৃণমূলে যোগ দিলেন মইনুল হক

শুক্রবার গৌর ঘোষ রোডে প্রিয়াঙ্কার হয়ে প্রচার করতে এসে এই ঘটনায় ধিক্কার জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতা সম্বিৎ পাত্র। তিনি বলেছেন, 'মানস সাহাকে খুন খুবই দুভাগ্যজনক। উনি আমাদের প্রার্থী ছিলেন। গতবার ভোটে লড়েছিলেন। আর ওনার উপর যেভাবে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা অত্যাচার এবং হামলা করেছে, তার পরিণাম আমরা বুধবার দেখেছি যে, ওনার শেষ অবধি মৃত্যু হল। প্রথমে মানস সাহার মৃতদেহকে বিজেপির কার্যলয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কী করেছে তৃণমূল আশ্রিত গুণ্ডারা, তা দেখাতে মমতার বাড়ির সামনে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন আমাদের নব্য নির্বাচিত সুকান্ত মজুমদারের উপরও হামলা চালানো হয়। তবে এভাবে অন্যায় করে কখনই জয় আসবে না' বলে তৃণমূলকে হুঁশিয়ারী দেন  সম্বিৎ পাত্রও।

  আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে  

আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়  

আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ  

আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা  

 

YouTube video player