সংক্ষিপ্ত
- শুক্রবার থেকেই কমবে বৃষ্টির প্রকোপ
- নির্ধারিত সময়ের আগেই আসতে পারে বর্ষা
- বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অত্যধিক রয়েছে
- তাই বৃষ্টি চলবে
ঘূর্ণিঝড় যশ তার শক্তি ক্ষয় করে বর্তমানে ঝাড়খণ্ডে অবস্থান করছে। রাঁচি থেকে কুড়ি কিলোমিটার পূর্বদিকে তার বর্তমান অবস্থান। আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যেই আরও শক্তি ক্ষয় করে সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হবে যশ। এমনই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তবে এখনই আকাশ পরিষ্কার হচ্ছে না রাজ্যের।
আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের উপর জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু সুস্পষ্টভাবে ততক্ষণ থাকবে, যতক্ষণ না যশের শক্তির পুরোপুরি ক্ষয় হয়। কারণ যেহেতু জামশেদপুর থেকে রাঁচি এই বিস্তীর্ণ অঞ্চল পশ্চিমবঙ্গের খুবই কাছাকাছি, সেজন্য যশের প্রভাব রাজ্যের আবহাওয়ার ওপর জোরালো ভাবেই পড়বে।
সেজন্য পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জায়গায় বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টিপাত হয়। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণও অত্যধিক রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ফলে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব দিকে প্রায় প্রত্যেকটি জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বীরভূম থেকে উত্তর ২৪ পরগনা- প্রত্যেকটি জেলায় বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি। তাই বৃষ্টির সম্ভাবনা শুক্রবার পর্যন্ত রয়েছে।
ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং, বীরভূম এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। বাকি জেলা গুলিতে মাঝারি থেকে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হবে। অন্যদিকে, হাওয়া অফিস জানিয়েছে কেরলে মৌসুমী বায়ু যথাসময়ে প্রবেশ করলেও বর্ষা এবার রাজ্যে আসবে হয়ত একটু আগে। অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ের কিছু আগেই বঙ্গে প্রবেশ করতে পারে বর্ষা।
আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বর্ষা আসে ২২ মে। এবছর ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে একুশে মে অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ের একদিন আগেই আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ঢুকে যেতে পারে , এমনই সম্ভাবনার কথা জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর।