সংক্ষিপ্ত
হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, আজ রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হবে উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গে। বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে ৪ ফেব্রুয়ারি। সেদিন উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টি হবে।
ফেব্রুয়ারি (February) মাসের শুরু থেকেই একটু একটু কর কমছে শীতের আয়ু (Winter Weather)। একধাক্কায় তাপমাত্রা (Temperature) অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। আজ সকাল থেকেই আকাশ ছিল মেঘলা (Cloudy Sky)। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের দেখা পাওয়া যায়। কিন্তু, মাঝে মাঝেই মেঘের মধ্যে মুখ লোকাচ্ছিল সূর্য (Sun)। আর আজ রাত থেকেই উত্তরবঙ্গ (North Bengal) এবং দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) বেশ কিছু জায়গায় বৃষ্টি (Rain Forecast) হবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipore Weather Department)। আর বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে আগামীকাল। প্রায় সব জেলাতই বৃষ্টি হবে বলে জানানো হয়েছে।
হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, আজ রাতের দিক থেকে বৃষ্টি শুরু হবে উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গে। বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে ৪ ফেব্রুয়ারি। উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির কয়েকটি জায়গায় ভারী বৃষ্টির (Heavy Rain) সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া বেশ কিছু জায়গায় শিলা বৃষ্টিও হবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- লোকসভায় কী হতে চলেছে, তাই নিয়ে 'সাহসী' পোস্ট তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের
অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে মূলত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান ও বাঁকুড়া। এই জেলাগুলির কয়েকটি জায়গায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসও জারি করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে বৃষ্টি জারি থাকবে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আর দক্ষিণবঙ্গে ওই দিন থেকে বৃষ্টি কমে গিয়ে পরিষ্কার হয়ে যাবে আকাশ। তবে আগামী দু'দিন উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রার কোনও পরিবর্তন হবে না। তাপমাত্রা আর নতুন করে বাড়বে না। তবে বৃষ্টি কমে যাওয়ার পর ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে তাপমাত্রা আবার কিছুটা কমবে। অবশ্য আগের মতো জাঁকিয়ে শীতের অনুভূতি আর হয়তো পাওয়া যাবে বলেই মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
বৃহস্পতিবার কলকাতার (Kolkata) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। সকাল থেকেই আংশিক মেঘলা ছিল আকাশ। আজ রাত থেকেই শুরু হতে পারে বৃষ্টি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৮ শতাংশ ও সর্বনিম্ন ৩২ শতাংশ।
আরও পড়ুন- অবশেষে বাজল স্কুলের ঘণ্টা, করোনা ভয়কে সঙ্গে নিয়েই ক্লাসে পড়ুয়ারা
চলতি মরশুমে বারবার পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কোপে সেভাবে শীতের দেখা পাওয়া যায়নি। কয়েকদিন শীতের আমেজ পাওয়া গেলেও তারপরই আবার পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপটে দেখা মিলেছে বৃষ্টির। আবহবিদরা বলছেন, যেভাবে ক্রমেই ঘন ঘন বদলাচ্ছে বঙ্গের আবহাওয়া তাতে সামগ্রিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জলবায়ু। যার প্রভাব পড়ছে চাষে। অকাল বৃষ্টির জেরে পচে গিয়েছে বহু সবজি। আর তার প্রভাব পড়ছে বাজার দরের উপর। এরপর সবজির দাম আগুন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।