সংক্ষিপ্ত

  • করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বেলুড় মঠ 
  • পলিটেকনিক কলেজ শিল্পমন্দিরে তৈরি হবে সেফ হোম
  • কয়েকটি ক্লাসরুম ও প্রার্থনা কক্ষে রোগিদের রাখার ব্যবস্থা
  • ৫০ শয্যার সেফ হোম তৈরি হবে 

দেশ জুড়ে মানুষ লড়ছে করোনার বিরুদ্ধে। এবার সেই লড়াইয়ে সামিল বেলুড় মঠ রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষ। বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন পরিচালিত পলিটেকনিক কলেজ শিল্পমন্দিরে কয়েকটি ক্লাসরুম ও প্রার্থনা কক্ষ খুলে দেওয়া হচ্ছে সর্বসাধারণের জন্য। সেখানে ৫০ শয্যার সেফ হোম তৈরি করে অল্প লক্ষনযুক্ত কোভিড রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানানো হয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন সারদাপীঠের পক্ষ থেকে।

এজন্য এখনই নূন্যতম পরিকাঠামো গড়তে সকলের সহযোগিতাও চাওয়া হয়েছে। এমনকি সেখানে রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য চিকিৎসক, নার্স ও স্বেচ্ছাসেবীদের যুক্ত হওয়ার আহ্বানও জানানো হয়েছে মিশনের পক্ষ থেকে।

এদিন বেলুড়ের রামকৃষ্ণ মিশন সারদাপীঠের সাধারণ সম্পাদক স্বামী দিব্যানন্দ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশনের উদ্যোগে ৫০ শয্যার নিখরচার সেফ হোম চালু করা হচ্ছে।

তিনি এদিন জানান, চিকিৎসক, নার্স, অক্সিজেন, ওষুধ ও অন্যান্য সুবিধা যুক্ত এই সেফ হোমে অল্প মাত্রায় সংক্রামিত ও কোভিডের কিছু লক্ষণ আছে এমন রোগীদেরই রাখার ব্যবস্থা হচ্ছে। বিশেষত বালি, বেলুড় ও আশেপাশের এলাকায় যাঁদের বাড়িতে সম্পূর্ণ আইসোলেশনের সুবিধা নেই এমন রোগীদেরই প্রাধান্য দেওয়া হবে। 

বেলুড়মঠের সারদাপীঠ সূত্রে জানা গেছে মঠের পলিটেকনিক কলেজের ক্যাম্পাসে এই সেফ হোম চালু হবে। সেখানে কয়েকটি ক্লাস রুম, প্রার্থনা কক্ষকে এই কাজে ব্যবহার করা হবে। সেমিনার হলকেও এই কাজে লাগানো হবে। আপাতত ৬ মাসের জন্য এই সেফ হোম চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উপসর্গহীন ও মৃদু উপসর্গযুক্ত করোনা রোগীদের এখানে চিকিৎসা দেওয়া হবে। বাড়িতে আইসোলেশনে থাকার মতো অবস্থায় না থাকা করোনা রোগীদের জন্যই এই সেফ হোম চালু করতে চলেছেন বেলুড়মঠ রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষ। 

শিল্পমন্দির পলিটেকনিক ক্যাম্পাসের ভিতরে হবে এই সেফ হোম। এই সেফ হোমটি বেলুড়, বালি এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। মঠের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বহু করোনা রোগীকে চিকিৎসকেরা বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকতে নির্দেশ দিয়ে থাকেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাঁদের বাড়িতে আইসোলেশনে থাকার মতো উপযুক্ত পরিবেশ নেই,  পরিকাঠামোও নেই। একটি মাত্র ছোট ঘরে অনেকে পরিবার নিয়ে থাকেন। এতে পরিবারের বাকি সদস্যদের সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যায়। তাঁদের ক্ষেত্রে এই সেফ হোম প্রয়োজনীয় এবং তাঁদের সমস্যা অনেকটাই সমাধান হবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

সারদাপীঠের পক্ষ থেকে এক আবেদনে জানানো হয়েছে, এই সেফ হোম গড়ে তুলতে গেলে এখনই বেশ কিছু চিকিৎসা সরঞ্জামের প্রয়োজন। যেমন ৬০টি শয্যা, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, অক্সিজেন সিলিন্ডার, পালস অক্সিমিটার এসব প্রয়োজন। প্রয়োজন জরুরী ওষুধ। ২৪ ঘন্টা পরিষেবা দেওয়ার জন্য ৪ জন চিকিৎসক, ৬ জন নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী প্রয়োজন। আগামী ৬ মাস এই পরিকাঠামোর জন্য অন্তত ৮০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন বলেও জানানো হয়েছে। এজন্য মঠের সারদাপীঠে সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। সারদাপীঠের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও সাহায্য পৌঁছনো যাবে বলে জানানো হয়েছে।