সংক্ষিপ্ত

  • পঞ্চসায়র ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত ট্যাক্সিচালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ
  • জেরায় ধর্ষণের কথা শিকার করেছে উত্তম রাম নামের ওই অভিযুক্ত
  • আগে ৩৬ বছরের ওই মানসিক রোগী ধর্ষণ কাণ্ডে উঠে এসেছিল ফিরোজের নাম
  • ঘটনার পর থেকেই আত্মীয়দের কাছে ফিরোজ নামের কারও কথা  বলেছেন ওই মহিলা

পঞ্চসায়রে মানসিক রোগী ধর্ষণকাণ্ডে উঠে এল নতুন তথ্য। গণধর্ষণ নয়, একা ট্যাক্সি চালকের নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন মহিলা। চালককে জেরা করে এই তথ্য় পেয়েছে পুলিশ। 

শনিবারই পঞ্চসায়র ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত ট্যাক্সিচালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, জেরায় ধর্ষণের কথা শিকার করেছে উত্তম রাম নামের ওই অভিযুক্ত। আগে ৩৬ বছরের ওই মানসিক রোগী ধর্ষণ কাণ্ডে উঠে এসেছিল ফিরোজের নাম। ঘটনার পর থেকেই আত্মীয়দের কাছে ফিরোজ নামের কারও কথা  বলেছেন ওই মহিলা। তদন্তে নেমে প্রথমে এই ফিরোজকেই খুঁজে বেরিয়েছে পুলিশ। ধর্ষণের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে একাধিক জনের। 

যদিও পুলিশি তদন্ত যত এগিয়েছে জানা গিয়েছে আসল তথ্য। জয়েন্ট সিপি ক্রাইম মুরলীধর শর্মা জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ফিরোজ নামের কেউ জড়িত  থাকার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সম্ভবত ঘটনার পর থেকে পরিচিত ফিরোজের নামই মনে এসেছে নির্যাতিতার তাই ওই নামই নিয়েছে সে। এই ফিরোজ তাঁর হোম অথবা বাড়ির কাছেই কোথাও থাকতে পারে।

পুলিশের কাছ থেকে জানা গেছে, গত সোমবার হোম থেকে রাত সাড়ে দশটার সময় রাস্তায় বেরোন ওই মহিলা। প্রথমে ২০৬ বাসস্ট্য়ান্ডের কাছে যান তিনি। পরে ফের নিজের হোমের কাছে চলে আসেন। এরপরই বেহালায় নিজের বাড়িতে যেতে চেয়ে রাস্তায় গাড়ি থামান নির্যাতিতা। প্রথমে গাড়িতে তুলেও পিয়ারলেস হাসপাতালের সামনে ওই মহিলাকে ছেড়ে দেন একজন। মহিলা মানসিক রোগী বুঝতে পেরেই ওই কাজ করেন তিনি। এরপরই হোমের ফেরার জন্য গাড়িগুলিকে হাত দেখান নির্যাতিতা। সেই সময় মানসিক ভারসাম্যহীন ওই মহিলাকে দেখতে পায় অভিযুক্ত রাম। মহিলাকে গাড়িতে তুলে সোনারপুরের কাটিপাড়ার দিকে নিয়ে যায় সে। নির্যাতনের পর সোনারপুরেই গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয় নির্যাতিতাকে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রক্তাক্ত অবস্থায় কীর্তন যাত্রায় হাঁটতে শুরু করেন ওই মহিলা। রক্তে শাড়ি  ভিজে গেছে দেখে নরেন্দ্রপুর থানায় খবর দেওয়া হয়। সোনারপুরে হাসপাতালে চিকিৎসার  পর স্থানীয় একটি হোমে রাখা হয় তাঁকে। কিন্তু সেখান থেকেও ভোর চারটের সময় পালিয়ে  যান ওই মহিলা। সোনারপুর স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে পৌঁছে যান তাঁর মামির বাড়ি। সেখান থেকেই যাবতীয় খবর পায়  পুলিশ।