সংক্ষিপ্ত
- লকডাউনের পর অসহায় শহরের যৌনকর্মীরা
- করোনা আবহে চলছে অন্য জীবিকার খোঁজ
- 'জাতীয় প্রকল্পে শিক্ষিত করতে হবে তাঁদেরকে'
- এবার তাঁদের লড়াইয়ে সামিল এনজিও-রাজনীতিবিদ
করোনার জেরে দীর্ঘ লকডাউনে রোজগার হারিয়ে অসহায় শহরের যৌনকর্মীরা। সংক্রমণ এবার শুধু নিরোধকেই আটকে থাকবে না। সংস্পর্শে বা কাছাকাছি আসলেও হতে পারে। করোনা এমন ভয়াবহ রোগ যে এইডস্-র থেকেও নিঃসন্দেহে ভয়ঙ্কর। তাই প্রাণ বাঁচাবার তাগিতে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হননি কর্মীরা। এদিকে প্রাণ বাঁচিয়ে পেটের জ্বালায় জর্জরিতও তাঁরা। কোথায় যাবে, কী খাবে-চিন্তায় কাঁপুনি এসেছে শিরায় শিরায়। এমনই সময় করোনা আবহ অন্য জীবিকার খোঁজে যৌন্যকর্মীদের নিয়ে লড়াইয়ে সামিল হল একাধিক এনজিও এবং রাজনীতিবিদরা।
আরও পড়ুন, অনেকেই বাড়ি ফিরতে পারল না, কোভিডে ফের মৃত্যু বাড়ল শহরে
করোনা আবহে চলছে অন্য জীবিকার খোঁজ
কলকাতার অ্যান্টি হিউম্যান ট্র্যাফিকিং অর্গানাইজেশন কর্তৃক যৌনকর্মীদের বিকল্প জীবিকা নির্বাহের সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে মহামারীর সময়ে সোনাগাছিতে ৮৯ শতাংশ যৌনকর্মী এই দুঃসময় কী করবেন এনিয়ে তোলপাড় হয় সংবাদমাধ্যম। এর আগে মহিলা ও শিশু উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী শশি পাজা বলেছিলেন যে, তিনি এ বিষয়ে অবগত নন। যদি যৌনকর্মীরা সাহায্যের জন্য আবেদন করেন তবে তিনি অবশ্যই এবিষয়ে কাজ করবেন। এদিকে সংবাদপত্রে শশি পাজা-র এই মন্তব্যটি পড়ে বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে তাঁর মতামত জানিয়েছিলেন, 'যৌনকর্মীদের কেন সাহায্য চাইতে আবেদন করা উচিত।'
আরও পড়ুন, ফের অ্যাপ বাইক চালকের শ্লীলতাহানির শিকার তরুণী, ধৃত তিলজলার ধীরাজ
'জাতীয় প্রকল্পে শিক্ষিত করতে হবে তাঁদেরকে',রাজু
বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যে, এমন সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে সমাজের এই প্রান্তিক শ্রেণিকে সহায়তা করা সরকারের কর্তব্য। কারণ তাঁদের এই ইস্যুগুলি সকল সংবাদপত্র এবং ইন্টারনেটের কোণায়-কোণায় ছড়িয়ে আছে। তিনি আরও বলেন 'মুক্তির আলো'-র মতো প্রকল্পের বিষয়ে আলোকপাত করা উচিত। যাতে তাঁদের অন্য জীবিকায় উদ্ভুদ্ধ করা যায়। অনেকেই জানেন না যে, তাঁদের সাহায্য করার জন্য একাধিক প্রকল্পে প্রতিবছর ব্যয়-বরাদ্দ অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরও বলেন, 'সরকারকে এই জাতীয় প্রকল্পগুলি ব্যবহারে সচেতনতা এবং জনগণকে আরও শিক্ষিত করতে হবে।'