সংক্ষিপ্ত
- রাজ্যের হিসেবে প্রায় ৮৩০ কোটি টাকা রোড ট্যাক্স বকেয়া পড়ে রয়েছে
- ৩১ মার্চের মধ্যে রোড ট্যাক্স মিটিয়ে প্রায় ৫০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে রাজ্য সরকার
- দুই ধরনের গাড়ির মালিকদের জন্য এই সুবিধা আনল রাজ্য পরিবহন দফতর
- এই বিষয়ে সহমত পোষণ করছে লরি ও ট্যাক্সি সংগঠনের প্রতিনিধিরাও
৩১ মার্চের মধ্যে রোড ট্যাক্স জমা দিলেই মিলবে বিপুল ছাড়, জোড়া অফার দিল পরিবহন দফতর।রোড ট্যাক্স বকেয়া ৩১ মার্চের মধ্যে টাকা মিটিয়ে দিলে জরিমানা পুরোপুরি মকুব হয়ে যাবে আপনার। গাড়ির বাকি কেসের জরিমানাও ওই সময়ের মধ্যে মিটিয়ে ফেললে সুবিধা পাওয়া যাবে। সবমিলিয়ে প্রায় ৫০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে রাজ্য সরকার। বাণিজ্যিক ও ব্যক্তিগত দুই ধরনের গাড়ির মালিকদের জন্য এই বিশেষ সুবিধা আনল রাজ্য পরিবহন দফতর।
আরও পড়ুন, কলকাতার তাপমাত্রা নামল স্বাভাবিকের নিচে, বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই
কোষাগার ফাঁকা তাই বকেয়া আদায়ে জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। তাই ফের ওয়েভার স্কিম চালু করল রাজ্য পরিবহন দফতর। বাণিজ্যিক গাড়িতে জরিমানা মেটাতে বিশেষ ছাড় দেওয়া শুরু করল পরিবহন দফতর। আগামী মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত মিলবে এই সুযোগ। মোটর ভেহিক্যালস আইনের বিভিন্ন ধারা লঙঘন করলে জরিমানা দিয়ে তা মেটাতে হয় গাড়ির মালিকদের। পরিবহন দফতরের হিসেব বলছে, বহু গাড়ির মালিক রয়েছেন যারা সময়মত এই টাকা মেটাচ্ছেন না।তাই একাধিক বার জরিমানা মেটানোর কথা বলা হলেও তা মানছিলেন না অনেকেই। শেষমেষ রাজ্য বিশেষ ছাড় দিয়ে সেই বিপুল পরিমাণ টাকা আদায় করতে চলেছে। দুই মাস আগেই বাণিজ্যিক গাড়ির বকেয়া ফিটনেস সার্টিফিকেটের জরিমানা বাবদ যে টাকা দেওয়ার কথা ছিল তার ফি মকুব করে দিয়েছিল রাজ্য পরিবহন দফতর।
আরও পড়ুন, ১৪ দিনের লড়াইয়ের পর ছুটি দিব্যাংশের, মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ শিশুর পরিবারের
দফতর সূত্রে খবর, এর ফলে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সিএফ জরিমানার টাকা আদায় হয়েছে। আর এতে লাভবান হচ্ছে রাজ্য পরিবহন দফতর। কিন্তু পরিবহন দফতরের আসল উদ্দেশ্য ছিল সিএফের ক্ষেত্রে সেই সুযোগ দিয়ে, রাজ্য়ে কত সংখ্যক গাড়ি ব্যবহারকারীর রোড ট্যাক্স বকেয়া রয়েছে সেটা জেনে নেওয়া। ফলে অনেকেই এসেছিলেন, সিএফের টাকা মেটাতে। এদিকে নিয়ম অনুযায়ী, রোড ট্যাক্স বকেয়া থাকলে সিএফ টাকা মেটানো যায় না। ফলে একই সঙ্গে সিএফ ও রোড ট্যাক্স বাবদ জরিমানার বকেয়া টাকা রাজ্য আদায় করে নিচ্ছে। রাজ্যের হিসেব প্রায় ৮৩০ কোটি টাকা রোড ট্যাক্স বকেয়া পড়ে রয়েছে। তাই এই টাকা আদায়ের জন্য জরিমানা পুরোপুরি মকুবের স্কিম চালু করে দেওয়া হল। রাজ্যের এই সিদ্ধান্তে খুশি বাস মালিকরা এবং সহমত পোষণ করেছে লরি ও ট্যাক্সি সংগঠনের প্রতিনিধিরাও।
আরও পড়ুন, অস্ত্রোপচারের পর ৩ বার ছিঁড়ে গেল নিম্নমানের সুতো, এনআরএস-এ মৃত্যু দশ দিনের শিশুর