সংক্ষিপ্ত
- একই দিনে ২ বাঙালির নজির
- নোবেল থেকে বিসিসিআই, সবখানে উড়ল জয়ধ্বজা
- দ্বিতীয় বাঙালি হিসাবে অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন অভিজিৎ
- আর একই দিনে বিসিসিআই-এর শীর্ষ পদে সৌরভ
২৪ ঘণ্টারও কম সময়। তার মধ্যেই দেশ থেকে আন্তর্জাতিক মহলে নজির গড়লেন দুই বাঙালি। এঁদের মধ্যে একজন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, আর অন্যজন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার মাঝরাতেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি পদে সৌরভের আসিন হওয়ার খবরটা ক্রিকেট বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল। এই ঘটনার রেশ মেলাতে না মেলাতেই সোমবার দুপুরে এল আরও এক সুখবর। আর সেই সুখবর হল অমর্ত্য সেনের পর দ্বিতীয় বাঙালি হিসাবে অর্থনীতিতে অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নোবেল জয়।
বিবিসিআই-এর সভাপতি পদ নিয়ে রবিবার দিনভর তুমুল নাটক হয় মুম্বইতে। আগামী সভাপতি হিসাবে ভেসে ওঠেছিল ব্রজেশ প্যাটেলের নামও। অতীতে ২২ গজে ভেলকি দেখিয়ে বহুবার তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সৌরভ। বোর্ড সভাপতির নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় প্রায় হেরে যাওয়া ম্যাচ অলৌকিক ক্ষমতায় জিতে নেন তিনি। সব ঠিক থাকলে ২৩ অক্টোবর বোর্ডের সাধারণ সভায় সভাপতি হিসাবে সৌরভের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হবে। এদিকে, গত কয়েক দিন ধরেই নোবেল প্রাপ্তির একের পর এক নাম ঘোষণা হচ্ছিল। অর্থনীতি নিয়ে যেভাবে গত কয়েক দশক ধরে কাজ করে আসছিলেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী এস্থের ডাফলো ও পিটার ক্রেমার, তাতে এই ত্রয়ীয় নোবল প্রাপ্তির সমূহ সম্ভাবনা ছিল। সোমবার দুপুরে সুইডিশ অ্যাকাডেমি অর্থনীতির নোবেল প্রাপ্তিতে অভিজিৎ এবং তাঁর দুই সঙ্গীর নাম ঘোষণা করতেই আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে পড়ে তামাম বাঙালি।
আরও পড়ুন: কলকাতাতেই পড়াশোনার শুরু, বর্তমানে মার্কিন নাগরিক, চিনে নিন নোবেলজয়ী অভিজিৎ-কে
সৌরভ ও অভিজিৎ যেভাবে একই দিনে দুই নজির গড়লেন তাতে হইচই পড়ে যায় বাঙালিদের মধ্যে। শেষ কবে এমন একদিন প্রত্যক্ষ করেছিল? স্মৃতি ঘাটলে দেখা যাচ্ছে ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে বাঙালির কপালে এসেছিল এমন এক দিন। সেদিন একদিনে তিন বাঙালির প্রত্যাবর্তন ঘটেছিল। এক বাঙালি প্রায় বছর খানেক টেস্ট ক্রিকেটে ব্রাত্য থাকার পর ফিরে এসেছিলেন জোহানেসবার্গের মাঠে। ২২ গজে ভয়ঙ্কর দক্ষিণ আফ্রিকার পেস আক্রণের সামনে বুক চিতিয়ে লড়ে করেছিলেন অপরাজিত ৫১ রান। যা সেই টেস্টে প্রথম ইনিংসে ভেঙে পড়া ভারতীয় ব্যাটিং লাইন-আপ-কে অক্সিজেন জুগিয়েছিল। সেই একদিনে নোবেলের মঞ্চে শান্তি পদক গলায় তুলেছিলেন মহম্মদ ইউনূস এবং সেই একই দিনে কলকাতায় প্রত্যাবর্তন ঘটেছিল নোবেল জয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের। সুতরাং, সেই দিক দিয়েই দেখতে গেলে বাঙালির এই প্রত্যাবর্তনের ইতিহাসের সঙ্গে দুবারই জড়িয়ে গেল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম।
আরও পড়ুন: অমর্ত্য সেনের পর এবার অভিজিৎ, অর্থনীতিতে নোবেল আরও এক বাঙালির
১৯৯৮ সালে অর্থনীতিতে নোবেল জিতেছিলেন অমর্ত্য সেন। তার ঠিক ২১ বছর পর ফের অর্থনীতিতে নোবেল জিতলেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। দারিদ্র দূরীকরণ নিয়ে গবেষণার জন্যই জুটল এই স্বীকৃতি। বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিবাসী হলেও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্কুল জীবন কেটেছে শহর কলকাতাতেই। সাইথ পয়েন্ট থেকে স্কুলের পাঠ নিয়ে প্রেসিডেন্সি, তারপর জেএনইউ। এরপর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি। বর্তমানে ৫৮ বছরের অভিজিৎবাবু মার্কিন মুলুকে ব্যস্ত রয়েছেন অধ্যাপনার কাজে।