সংক্ষিপ্ত

রাজ্যের গ্রুপ সি নিয়োগ মামলায় এখনই সিবিআই অনুসন্ধান করা যাবে না। এখনই কারও চাকরি যাচ্ছে না, শুক্রবার এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য এল বড়সড় সুখবর।  

রাজ্যের গ্রুপ সি নিয়োগ মামলায় (SSC Group C recruitment Case) এখনই সিবিআই অনুসন্ধান করা যাবে না। এখনই কারও চাকরি যাচ্ছে না।  শুক্রবার এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য এল বড়সড় সুখবর। এদিন এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta  High Court) ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের পর্যবেক্ষণের পর, কোথাও দু-একটা দুর্নীতি হয়েঠছে ঠিকই। তবে এখনই সিবিআই অনুসন্ধ্য়ান (CBI Enquiry ) বা চাকরি যাওয়ার নির্দেশ বহাল রাখছে না হাইকোর্ট। মঙ্গলবার ফের এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। 

সরকারি আইনজীবী এদিন বলেন, মামলার আবেদনপত্রে সামান্য ত্রুটি রয়েছে। এই মামলায় স্কুল সার্ভিস এবং পর্ষদকে যুক্ত করা হয়নি। এবার তাঁদের যুক্ত করতে বলেছে আদালত। অপরদিকে মামলাকারীদের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত আবেদন করেছেন, মামলাটি মঙ্গলবার শুনানির জন্য রাখা হোক। এই মুহূর্তে স্থগিতাদেশে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই বলেই জানান তিনি। যদিও একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, এটা দুভার্গ্যজনক।

আরও পড়ুন, স্বামী টিকিট পেলেও পাননি স্ত্রী, পুরভোটে প্রার্থী পদ না পাওয়ায় বিবাহ বিচ্ছেদ দমদমে

অপরদিকে, চলতি সপ্তাহে ৩৫০ জন গ্রুপ সি কর্মী নিয়োগ ঘিরে প্রশ্ন ওঠে আদালতে। ৩৫০ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। একই সঙ্গে এই নিয়োগ ঘিরে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন। এর আগে গ্রুপ ডি নিয়োগের মামলাতেও একই ভাবে নির্দেশ দিয়েছিলেন  অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মূলত সেবার ৩৫০ জনের নিয়োগ ভুয়ো বলে মামলা দায়ের করা হয়। অবিলম্বে তাঁদের বেতন বন্ধের নির্দেশ দেন বিচারপতি। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় নির্দেশ দেন, জেলা স্কুল পরিদর্শক দেখবেন যেনও, ওই ৩৫০ জন কোনওভাবেই বেতন না পান। তবে এখানেই শেষ নয়, এতদিন অবধি যা বেতন তারা পেয়েছেন, সেটাও ফেরাতে হবে। তা না হলে আইন অনুযায়ী উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন জেলা স্কুল পদর্শক।

প্রসঙ্গত, এসএসএসি গ্রুপ ডি নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় গত বছর রাজ্যের একাধিক প্রান্তে আন্দোলনে সামিল হয়েছিল চাকরি প্রার্থীরা। নেমেছিল রাজপথেও। যা নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপও ক্রমেই বাড়ছিল।  উল্লেখ্য, প্রথমে পঁচিশটি নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ মামলাকারীদের তরফে হলফনামার সঙ্গে হাইকোর্টে জমা করা হয়েছিল।পরবর্তীতে আরও ৫২৫টি নিয়োগকে ভুয়ো বলে দাবি করা হয়। তা নিয়েও একাধিক তথ্যপ্রমাণ হাইকোর্টের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সফট কপি জমা দেওয়া হয়। দেওয়া হয় পেন ড্রাইভও। যদিও এসএসএসি-র দাবি এখানে কোনও নিয়োগই কোনো সুপারিশের ভিত্তিতে হয়নি। যা হয়েছে সবই স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায়। যদিও তা মানতে নারাজ চাকরি প্রার্থীরা।