সংক্ষিপ্ত

বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ফের এসএসসি মামলার শুনানি। বিকেল তিনটের মধ্য়েই সিবিআই-র হাতে নিয়োগ সংক্রান্ত সব নথি তুলে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি টন্ডন।  

বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ফের এসএসসি মামলার শুনানি (SSC recruitment group D case)। বিকেল তিনটের মধ্য়েই সিবিআই-র হাতে নিয়োগ সংক্রান্ত সব নথি তুলে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি টন্ডন। এদিন সকালেই ডিভিশন বেঞ্চে (High Court Division Bench  )মামলার শুনানি রয়েছে। সিবিআই তদন্তের নির্দেশের উপর আর্জি জানাবে রাজ্য (WB Govt)। 

এসএসসি গ্রুপ ডি মামলায় অনুসন্ধান শুরুর মুহূর্তে ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের দিকে নজর সিবিআই গোয়েন্দার। এদিন দুপুর তিনটের মধ্য়ে ডিভিশন বেঞ্চের যদি কোনও আদেশ না আসে, তাহলে সিবিআই-র তরফে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল কলকাতা হাইকোর্ট থেকে মামলা অনুসন্ধান শুরু করার জন্য নথি সংগ্রহ করবে। এবং ঘোষণা করা হবে অনুসন্ধান কমিটির নামের তালিকা। সিবিআই সূত্রের খবর, সিঙ্গেল বেঞ্চ সিবিআই ডিরেক্টরকে অনুসন্ধান কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশের পর দিল্লি থেকে কলকাতা সিবিআই-রপ্রাথমিক রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। 

আরও পড়ুন, Weather Report: আগামী ২-৩ দিনে ৪ ডিগ্রি কমবে তাপমাত্রা, কবে ফিরছে শীতের আমেজ রাজ্যে

 এসএসএসি গ্রুপ ডি নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যের একাধিক প্রান্তে আন্দোলনে সামিল হয়েছিল চাকরি প্রার্থীরা। নেমেছিল রাজপথেও। যা নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপও ক্রমেই বাড়ছিল। এমতাবস্থায় কলকাতা হাইকোর্টের সোমবারের রায় যে রাজ্য সরকারের স্নায়ুর চাপ অনেকাটাই বাড়িয়ে দিয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভাবনা চিন্তা যে রাজ্যের শিক্ষা দফতর শুরু করে দিয়েছে তা সোমবারই স্পষ্ট হয়ে যায়। মঙ্গলবার রাত থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দেয় এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ৷ 

উল্লেখ্য, প্রথমে পঁচিশটি নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ মামলাকারীদের তরফে হলফনামার সঙ্গে হাইকোর্টে জমা করা হয়েছিল।পরবর্তীতে আরও ৫২৫টি নিয়োগকে ভুয়ো বলে দাবি করা হয়। তা নিয়েও একাধিক তথ্যপ্রমাণ হাইকোর্টের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সফট কপি জমা দেওয়া হয়। দেওয়া হয় পেন ড্রাইভও। যদিও এসএসএসি-র দাবি এখানে কোনও নিয়োগই কোনো সুপারিশের ভিত্তিতে হয়নি। যা হয়েছে সবই স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায়। যদিও তা মানতে নারাজ চাকরি প্রার্থীরা। গ্রুপ ডি নিয়োগে সরকারি পদক্ষেপ নিয়েও একধিক প্রশ্ন তোলা হয় , করা হয় তিরষ্কারও। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধায়ের স্পষ্ট প্রশ্ন কমিশনের সুপারিশ যদি নাই থাকে, তবে নিয়োগে কার অদৃশ্য হাত রয়েছে এবং কার সুপারিশে ২৫ জন চাকরি পেলেন, সেদিকে দুবছরের বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে এই নিয়োগ হয়ে গিয়েছে।

আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ  

আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা  

আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়