সংক্ষিপ্ত

কমিশনার জানিয়েছেন এখনও কাউকে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে গ্রেফতার করা যায়নি। তবে গোডাউন মালিকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে দমকল।

শনিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ পূর্ব কলকাতার (East Kolkata) ট্যাংরায় মেহের আলি লেনের একটি চামড়ার গুদাম থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন গ্রাস করে ফেলে গোটা কারখানাটিকে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। দমকলের বিরুদ্ধে ঘটনাস্থলে দেরিয়ে আসার অভিযোগও ওঠে। রেক্সিন, ফোম সহ একাধিক দাহ্য পদার্থ গুদামে থাকায় ভয়ঙ্কর রূপ নেয় আগুন (devastating fire)। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন নেভাতে হিমশিম খেতে হয় দমকলকে। ঘটনাস্থলে যায় কলকাতা পুলিসেরর বিপর্যয় মোকাবিলা দল। 

রবিবার ঘটনাস্থলে আসেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার (Kolkata Police Commissioner) বিনীত গোয়েল (Vinit Goyal)। গোটা এলাকা (Area Survey) ঘুরে দেখেন তিনি। পরিস্থিতি পর্যালোচনা (Fire Situation) করেন। পরে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তবে কিছু জায়গায় আগুন এখনও জ্বলছে। কুলিং প্রসেস শুরু হয়েছে। তার আগে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে না। এরই সঙ্গে কমিশনার জানিয়েছেন এখনও কাউকে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে গ্রেফতার করা যায়নি। তবে গোডাউন মালিকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে দমকল। দ্রুত মামলা দায়ের করা হবে। 

এদিকে, রেক্সিন, ফোম, কাপড়ের গুদাম হওয়ার আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ও তীব্রতা ক্রমেই বৃদ্ধি পায়। পুরো গুদামটি আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়। টিনের গুদাম একটা সময় পড়ে আগুনের কারমে পুরোপুরি ধসে পড়ে যায়। কালো ধোঁয়া গ্রাস করে ফেলে গোটা এলাকাকে। আগুন গুদামটির পাঁচিল ঘেরা জায়গায় মধ্যে অ্যারেস্ট করার রাখার চেষ্টা করেন দমকল কর্মীরা। কারণ দেওয়ালের বাইরে আগুন বেড়িয়ে গেলে তা স্থানীয় এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। এই পরিস্থিতিতে আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হন ৩ জন দমকল কর্মী। তাদের চিকিৎসরা চলছে।

আগুন লাগার ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এই ঘটনায় উচ্চপর্যায়ে তদন্তের (constitutes a high power committee) জন্য কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমে (Firhad Hakim) একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। 

উচ্চপর্যায়ের এই কমিটি তৈরি করা হবে দমকল, পুলিশ ও কলকাতা পুরনিগমকে নিয়ে। কলকাতার সব কারখানা ও গুদামের বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখতে এই কমিটি। এ প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী আমাকে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ, দমকল ও কলকাতা পুরনিগমকে নিয়ে এই কমিটি তৈরি করা হবে। কলকাতা শহরে এইরকম ঘিঞ্জি এলাকায় কতগুলো কারখানা বা গোডাউন রয়েছে তার একটা তালিকা তৈরি করা হবে। সেই কারখানা বা গোডাউনগুলোতে দমকলের অনুমতি রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। এই কারখানাগুলোতে আগুন লাগলে তা ভয়াবহতা কতটা হতে পারে তার খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। সেই অনুযায়ী একটা রিপোর্ট তৈরি করা হবে। এই ফায়ার সেফটি কমিটিতে দমকলই থাকবে প্রধান। আর তার সঙ্গে পুরনিগম ও পুলিশ থাকবে।"