সংক্ষিপ্ত
'ভাইফোঁটার গিফটও কেনা হয়েছিল, মনেই হয়নি দাদা চলে যেতে পারে',ভাইফোঁটার আগে দাদা সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে হারিয়ে গলা বুজে আসল বোনের। 'এরকম দাদা যেন জন্ম জন্মান্তরে পাই', এদিন জানালেন বোনেরা।
'ভাইফোঁটার গিফটও কেনা হয়েছিল, মনেই হয়নি দাদা চলে যেতে পারে',ভাইফোঁটার (Bhai Dooj 2021) আগে দাদা সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে (Subrata Mukherjee) হারিয়ে গলা বুজে আসল বোনের। 'এরকম দাদা যেন জন্ম জন্মান্তরে পাই', এদিন জানালেন বোনেরা ( Subrata Mukherjee's Sister)।
প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোন এদিন বলেছেন, 'তিন দিন আগে বোনের বরকে নিয়ে গিয়েছিলাম দাদার সঙ্গে দেখা করতে। ভাইফোঁটার গিফটও কেনা হয়েছিল। তখনও তো আমাদের সঙ্গে হেসেই কথা বলল। অনেকক্ষণ ধরে গল্প করল। মনেই হয়নি দাদা চলে যেতে পারে।' এই অবধি বলেই গলা বুজে এল প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোন তনিমাদেবীর। এদিকে কালী পুজো পেরোলেই ভাই ফোঁটা। রাজ্যের মন্ত্রী হওয়ায় একধিক দফতর সামলানোর পাশাপাশি ঘর-সংসারও অনেক দায়িত্বের সঙ্গে সামলেছেন তিনি। বাড়ি প্রিয় মানুষ ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। খেতেও ভালবাসতেন খুব। প্রতিবারের ভাইফোঁটায় সুব্রতর ফোঁটা নেওয়ার ছবি ছড়াত সংবাদমাধ্যমের ছড়িয়ে যেত দ্বারা সারা বাংলায়। এদিন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোন তনিমাদেবী আরও বলেন, এরকম দাদা যেন জন্ম জন্মান্তরে পাই। এরকম দাদা যেন সকলে পান। ও বড় মানুষ কিন্তু দাদার কোনও অহংকার ছিল না। অপর আরেক দিদি বলেন, সেদিন আর আসবে না। আর কোনওদিন নিজের হাতে রান্না করে দাদাকে খাওয়াতে পারব না।'
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি বাংলার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৭২ সালের দিন ভয়ঙ্কর দিনগুলিতে তিনি বাংলারব মন্ত্রী ছিলেন। মাত্র ২৬ বছর বয়ছে সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়েক মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭২-র দিনগুলিতে রাজ্যের তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছিলেন তিনি। একটা সময় বাংলার কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতাদের মধ্যে ছিলেন তিনি। কিন্তু ২০০০ সালে কংগ্রেস ছেড়ে যোগদেন তৃণমূল কংগ্রেসে। ২০০১ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকে জিতে সুব্রত মুখোপাধ্যায় কলকাতা পুরসভার মেয়র হন। কিন্তু তারপর থেকেই বেশ কয়েকটি কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়তে থাকে। কলকাতা পুরভোটে আদালা জোট করে লড়াই করেন। তিনি জিতলেও তাঁর নেতৃত্বাধীন ডোট পরাজিত হয়। তারপর তিনি কংগ্রেসে ফিরে যান। কিন্তু ২০১০ সালে আবার তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন। তারপর আমৃত্যু সুব্রত মুখোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গেই ছিলেন। ২০১১ সালে রাজ্যের পালাবদলের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি। সেই ময় তিনি পঞ্চায়েত মন্ত্রী হন। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েকর দায়িত্ব থাকা জনস্বাস্থ্য দফতরেরও দায়িত্ব সামলেছিলেন তিনি। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচবেও তাঁর কেন্দ্র বালিগঞ্জ থেকে জিতেছিলেন তিনি। তবে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন।
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে