সংক্ষিপ্ত
মাত্র ৩ মিনিটে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে প্রথম দিনের শুনানি শেষ হয়ে যায় এদিন বিধানসভায়। শুভেন্দু অধিকারী এদিন জানান, দল বিরোধী আইন কার্যকর করার আবেদন নিয়ে তারা আদালতে যাবেন।
শুক্রবার বিধানসভায় মুকুল ইস্যু নিয়ে প্রথম শুনানি শেষ। পরবর্তী শুনানির তারিখ ৩০ জুলাই। উল্লেখ্য, মাত্র ৩ মিনিটে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে প্রথম দিনের শুনানি শেষ হয়ে যায় এদিন বিধানসভায়। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে শুনানিতে ছিলেন আরও দুই বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায় ও সুদীপ মুখোপাধ্য়ায়।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুর ২টার সময়ে স্পিকারের ঘরে যান শুভেন্দু অধিকারীরা। তিন মিনিটের মাথাতেই বেরিয়ে আসেন। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এখনও পর্যন্ত অধিবেশন ছাড়া কোনও বৈঠক বা সৌজন্য সাক্ষাৎকার হয়নি স্পিকার ও বিরোধী দলনেতার। এদিনের শুনানিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী উপস্থিত হলেও মুকুল রায়কে অবশ্য আসতে বলা হয়নি। শুভেন্দু অধিকারী শুনানি শেষে জানান, 'আরও বেশ কিছু তথ্য চেয়েছেন স্পিকার। পাশাপাশি বেশকিছু সইসুবাদি করার আছে। পরবর্তী শুনানির তারিখ ৩০ জুলাই। একদিকে শুনানি চললেও অন্যদিকে আদালতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিজেপি পরিষদীয় দল। শুভেন্দু অধিকারী এদিন জানান, দল বিরোধী আইন কার্যকর করার আবেদন নিয়ে তারা আদালতে যাবেন। সেই সঙ্গে নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার আবেদন করবেন। খুব দ্রুত আদালতে যাওয়া হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন শুভেন্দু।
অপরদিকে, ৯ জুলাই অর্থাৎ ঠিক এক সপ্তাহ আগে PAC-র চেয়ারম্যান হন মুকুল রায়। মুকুল রায়ের নাম ঘোষণা হতেই তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয় বিধানসভায়।মুকুল রায়কে PAC-র চেয়ারম্যান করার বিরোধিতা করে অধিবেশন থেকে ওয়াক আউট করে বিজেপি।আর মুকুল রায় PAC-র চেয়ারম্যান হতেই বিধানসভার ৮ টি চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে দিয়েছে বিজেপি। একই সঙ্গে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে শুভেন্দুর নের্তৃত্বে বিজেপির পরিষদীয় দল গিয়ে এই ব্যাপারে তাঁর হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন জানিয়েছে।