সংক্ষিপ্ত

শনিবার সকাল থেকেই শহরের মিষ্টির দোকানে ভীড় উপচে পড়ছে কলকাতায়। এদিন সব ভাইদের মঙ্গলকামনায় ফোঁটা দেবে দিদি, বোনেরা।  

শনিবার সকাল থেকেই শহরের মিষ্টির ( Sweet Shop) দোকানে ভিড় উপচে পড়ছে। এদিন সব ভাইদের মঙ্গলকামনায় ফোঁটা দেবে দিদি, বোনেরা। অনেকেরই দাদা কাছে নেই, ঐতিহ্য মেনে অনেকেই তাই এদিন দেবেন দেওয়ালে ফোঁটা। আবার ডিজিট্যালের যুগে বাইরে থাকা ভাইয়েরা ফোঁটা নিতে ল্যাপটপের স্ক্রিনেও উঁকি দেবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, ভ্রাতৃদ্বিতীয়া (Bhai phota 2021) কতক্ষণ থাকবে।

আরও পড়ুন, Weather Report: তাপমাত্রা স্বাভাবিকের ৩ ডিগ্রী নিচে, কুয়াশা মাখা ভোরে সূর্যোদয় কলকাতায়

 মূলত কার্তিকমাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া দিনে ভাইফোঁটার উদযাপন করা হয়। তবে অনেক বাড়িতে রয়েছে নিয়মভেদ। তাই শুক্লপক্ষের প্রতিপদের দিনেও অনেকবাড়িতে অনেকজায়গায় ভাইফোঁটা পালন করা হয়। ভাইফোঁটা কতক্ষণ থাকবে জেনে নেওয়া যাক। প্রতিপদ ৫ নভেম্বর ১ টা ১১ মিনিট অবধি। দ্বিতীয়া রাত ১১ টা ১৪ মিনিট। দ্বিতীয় শেষ হবে ৬ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭ টা ৪৪ মিনিটে।  ভাইফোঁটা বাঙালির অন্যতম এক শ্রেষ্ঠ উৎসব। কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় তিথিতে পালিত হয় ভাইফোঁটার উৎসব। কালীপুজোর  একদিন পর এই উৎসব হয়। অর্থাৎ ৬ নভেম্বর এবছর উদযাপিত হবে ভাইফোঁটা। ভাইফোঁটার দিনে ভাইকে ফোঁটা দেওয়ার সময় এক প্লেট মিষ্টি ভরিয়ে রাখা হয়। মিষ্টি ছাড়া এই উৎসব অসম্পূর্ণ।কোভিড আবহে ইতিমধ্যে শিথিল করা হয়েছে কোভিড বিধি। তার মধ্যে শনিবার বাঙালির ভাইফোঁটা। ২০২০ সালে করোনা সংক্রমণের কারণে সেইভাবে ভাইফোঁটা পালন করা না গেলেও চলতি বছরে পরিস্থিতি অনেকটা পরিবর্তন হয়েছে। তাই মিষ্টির দোকানে ভিড় জমিয়েছেন কলকাতাবাসী।  

আরও পড়ুন, Subrata Mukherjee-'নে, আজ থেকে ধুতি-পাঞ্জাবি পরে প্রচার করবি', প্রিয়র পথেই এগিয়ে গেলেন সুব্রত

প্রসঙ্গত, ভাইফোঁটা নিয়ে দুটি পৌরাণিক কাহিনি রয়েছে। শোনা যায়, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ  নরকাসুর নামে এক রাক্ষসকে বধ করার পর তাঁর বোন সুভদ্রার তাঁকে আরতি করে তিলক লাগিয়ে গৃহে আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেই থেকেই এই ভাইফোঁটা  রীতি চালু আছে। অপরদিকে, জানা যায় সূর্য দেবতা সূর্য সমজ্ঞা নামে একটি মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন। তাদের যমজ সন্তান হয় যম ও বর্ণী। সমজ্ঞা সূর্যের তাপকে অসহ্য মনে করতেন। তাই চলে আসেন পৃথিবীতে । এমন সময় ছায়ার সঙ্গে সূর্যদেবের বিয়ে হয়। ছায়া তাঁর সন্তানদের জন্ম দেন। এদিকে সূর্যদেবের প্রথম পক্ষের সন্তান যম ও বর্ণীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা শুরু করে। এতে বিরক্ত হয়ে বর্ণি পৃথিবীতে চলে আসেন। কয়েক বছর পর যম বর্ণীকে দেখার সিদ্ধান্ত নেন। আর ভাইকে স্বাগত জানাতে একটি বড় ভোজ প্রস্তুত করেন। যম চলে যাওয়ার সময় বোনকে কিছু উপহার দিতে বর্ণীর কাছে তাঁর ইচ্ছে জানতে চান। বর্ণী, দাবি করেন যে, এই দিন অর্থাৎ দীপাবলির পরে দ্বিতীয় দিন, সমস্ত ভাই তাদের বোনদের সঙ্গে দেখা হোক এবং বোনেরা তাদের ভাইয়ের সুখ এবং দীর্ঘায়ুর জন্য প্রার্থনা করুক। সেই থেকেই চালু হয়েছে ভাইফোঁটা।