সংক্ষিপ্ত

  • ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল কলকাতা
  • মমতা- মোদী বৈঠকের প্রতিবাদে বিক্ষোভ
  • উত্তাল ধর্মতলা চত্বর
  • পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙল বিক্ষোভকারীরা

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকের বিরোধিতায় কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রীর বিক্ষোভে উত্তাল হল কলকাতাও। পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন আন্দোলনরত ছাত্ররা। পুলিশের ব্যারিকেডও ভেঙে ফেলেন তাঁরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বার বার শান্ত হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধেও বিশেষ কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে 'আন্দোলনে শান্তি চাই', 'গন্ডোগোল চলবে না' বলে স্লোগান দিতে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। 

এ দিন প্রধানমন্ত্রীর কলকাতা সফর চলাকালীন যাদবপুর সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজের পড়ুয়ারা কলকাতায় বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন। মূল মিছিলটি নন্দন চত্বর থেকে শুরু করে ধর্মতলার দিকে এগনোর চেষ্টা করে। যদিও তাতে প্রথমে আপত্তি জানায় পুলিশ। পরে অবশ্য মিছিলকে ধর্মতলার দিকে এগনোর অনুমতি দেওয়া হয়। 

 এরই মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের খবর আসায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন পড়ুয়ারা। মুখ্যমন্ত্রী- প্রধানমন্ত্রী বৈঠকের প্রতিবাদে ডোরিনা ক্রসিংয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ধরনা মঞ্চের দিকে এগনোর চেষ্টা করে মিছিল। বাধা দেয় পুলিশ। কিন্তু পুলিশের তিনটি ব্যারিকেড ভেঙেই মিছিল এগিয়ে যায়। পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি বেঁধে যায়। 

এই গন্ডগোলের সময় মিলেনিয়াম পার্কে পোর্ট ট্রাস্ট-এর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। খবর পেয়ে অনুষ্ঠান শেষে ফের তিনি ধর্মতলায় চলে আসেন। ছাত্রদের শান্ত হওয়ার আবেদন জানান তিনি। মমতা বোঝাতে থাকেন, তাঁদের এবং বিক্ষোভকারী ছাত্রদের আন্দোলন একই বিষয় নিয়ে। ছাত্রদের তিনি প্রশ্ন করেন, 'কেন এরকম করছ তোমরা? আমাদের এখানকার পুলিশ তো দিল্লি পুলিশের মতো নয়।' 

পাল্টা বিক্ষোভকারীরা প্রশ্ন তোলেন, পুলিশ কেন তাঁদের উপরে লাঠিচার্জ করল? মমতা- মোদী বৈঠকের বিরোধিতাতেও স্লোগান ওঠে মিছিল থেকে। 

বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভকারীদের বোঝানোর পর শেষ পর্যন্ত কিছুটা মেজাজ হারান মুখ্যমন্ত্রীও। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আন্দোলনের নামে কোনওরকম অশান্তি বা হিংসা তিনি বরদাস্ত করবেন না। তাঁকে বলতে শোনা যায়, 'আমাদের পুলিশ তো দিল্লি পুলিশের মতো নয়। দিল্লির পুলিশের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হলে দিল্লিতে গিয়ে করুন কোনও আপত্তি নেই।'

দীর্ঘক্ষণ মুখ্যমন্ত্রী বোঝালেও পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। শেষ পর্যন্ত ধরনা মঞ্চেই বসে থাকেন মমতা। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ- তে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী এই মুহূর্তে ভিড় করে রয়েছেন। ব্যারিকেড করে তাঁদের আটকেছে পুলিশ। তীব্র উত্তেজনা রয়েছে ধর্মতলা চত্বর জুড়ে।