সংক্ষিপ্ত

আলিপুর চিড়িয়াখানায় খাঁচা থেকে বেরিয়ে এল শিম্পাঞ্জি। শিম্পাঞ্জি বেরিয়ে আসতে সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয় মেইন গেট।সকালে তাঁকে খাবার দিতে ঢুকেছিলেন চিড়িয়াখানার কর্মীরা। তখনই কোনওভাবে খাঁচার গেট খোলা থাকায় বুড়ি নামের ওই শিম্পাঞ্জিটি বেরিয়ে পড়ে।

আলিপুর চিড়িয়াখানায় খাঁচা থেকে বেরিয়ে এল শিম্পাঞ্জি। শিম্পাঞ্জি বেরিয়ে আসতে সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয় মেইন গেট। বেশ অনেকটা সময় পর ঘুম পাড়ানি গুলি মেরে বাগে আনা হয় শিম্পাঞ্জিকে। গোটা ঘটনায় আলিপুর চিড়িয়াখানায় মুহূতেই ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। কর্মীদের বুকধুকপুক ভালমতোই এদিন করালেন গুণধর শিম্পাঞ্জি ।

আলিপুর চিড়িয়াখানা সূত্রে খবর, শিম্পাঞ্জিটির নাম বুড়ি বলে জানা গিয়েছে। সকালে তাঁকে খাবার দিতে ঢুকেছিলেন চিড়িয়াখানার কর্মীরা। তখনই কোনওভাবে খাঁচার গেট খোলা থাকায় বুড়ি নামের ওই শিম্পাঞ্জিটি বেরিয়ে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, খাঁচার কোনার দিক দিয়ে বেরিয়ে যায় সে। তারপরেই সে মহানন্দে গোটা চিড়িয়াখানার ভিতর ঘুরতে শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয মেইন গেট।  এরপরে শুরু হয় তাঁকে ঘুমপাড়ানি গুলি দিয়ে বাগে আনার চেষ্টা। প্রথমে তাঁকে বাগে আনা যায়নি। বাগে আনতে বেশ বেগ পেতে হয় তাকে। খাঁচা থেকে বেরিয়ে শিম্পাঞ্জিটিকে ঘুরতে এবং জল খেতে দেখা যায়। অবশেষে বেশ খানিক্ষণের চেষ্টায় বাগে আনা সম্ভব হয় শিম্পাঞ্জিটিকে।ইতিমধ্য়েই সেটিকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে খাঁচায়। তবে এই বিষয়ে এখনও চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ কোনও বিবৃতি দেয়নি।

আরও পড়ুন, সিবিআই-র যুগ্ম অধিকর্তা বদল, কয়লা পাচার-গরুপাচার তদন্তের দায়িত্বে এবার এন বেণুগোপাল

আরও পড়ুন, বাড়তে চলেছে গরমের ছুটি, আজই নির্দেশিকা জারির সম্ভাবনা

কী করে এতবড় ভূল হল, কারণ ওই শিম্পাঞ্জীর আক্রমণ করার একটা সম্ভাবনা তো থেকেই যায়। সেই সময় যেই কর্মী খেতে দিয়েছিলেন, তিনি কীকরে গেট খোলা রাখেন, এনিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে শিম্পাঞ্জীর এহেন ব্যবহার আগে দেখা গিয়েছে চিড়িয়াখানায়। এর আগে শিম্পাঞ্জি শরীর খারাপে দেখতে এসে নিজেই ফাঁদে পড়েছিলেন চিকিৎসক। উনিশসালের দিকের ঘটনা এটি। বেশ কয়েকদিন ধরেইে শরীর ভালো যাচ্ছিল না আলিপুর চিড়িয়াখানার শিম্পাঞ্জির।তড়িঘড়ি ডাক্তারদেরর তলব করেন চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর। এদিকে শিম্পাঞ্জির চড়া মেজাজ দেখে কাছে এগোতে সাহস পাচ্ছিলেন না কেউ।শেষে চিকিৎসকদের অভয় দিতে এগিয়ে আসেন খোদ চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর আশিস সামন্ত। চিকিৎসকরা ইঞ্জেকশন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হলে শিম্পাঞ্জিকে ধরে বসেন আশিস সামন্ত। ব্যাস আর কি, শিম্পাঞ্জি হয়ে ওঠে পিরাণহা।রেগে গিয়ে ডিরেক্টরের আঙুল কামড়ে দেয় সে। যার জেরে বাদ পড়ে আশিসবাবুর তর্জনীর উপরের অংশ। তড়়িঘডি় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। চিড়িয়াখানার কর্মীরা জানান, ওই শিম্পাঞ্জি যে এই ধরনের কিছু করবে, তা ভাবতেই পারেননি ডিরেক্টর। প্রায়ই চিড়িয়াখানায় পশু,পাখিদের ঘুরে দেখেন আশিস সামন্ত। তবে পশুদের মন বোঝা দায়। গায়ে হাত দেওয়া যে কাল হবে, বুঝতে পারেননি চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর।

আরও পড়ুন, 'দাঙ্গা বাধানো'- সহ একাধিক অভিযোগ, পুলিশি রদ পদলের পরেই বিরাট সংখ্যায় গ্রেফতার হাওড়ায়