সংক্ষিপ্ত
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জানান, পুরো কমিশনকে বরখাস্ত করে দেওয়া হবে অসঙ্গতির প্রমাণ পেলে। অন্যদিকে এই মামলার শুনানিতে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গড়ে তদন্তের আর্জি জানায় রাজ্য।
সাধারণ নিয়োগের মামলায় এত বড় দুর্নীতি (Corruption) মেনে নেওয়া যায় না। মঙ্গলবার (Tuesday) স্কুল সার্ভিস কমিশনের সচিবকে (School Service Commission Secretary) এই ভাষাতেই ভর্ৎসনা করল কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata Highcourt)। হাইকোর্ট এদিন পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে সাধারণ মানুষের টাকা নয়ছয় করে যে দুর্নীতি করা হচ্ছে, তাও বরদাস্ত করার মতো নয়। অবিলম্বে এই দুর্নীতির পিছনে কারা রয়েছে, তা তদন্ত করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এরই সঙ্গে হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে তদন্তের জন্য এসএসসি বা রাজ্যের কোনও তদন্তকারী দলের ওপর ভরসা নেই আদালতের।
কলকাতা হাইকোর্ট এদিন জানিয়েছে মামলার শুনানি শেষ হলে সিআইএসএফ বা সিআরপিএফের সাহায্য নেওয়া হবে। এরপর সিবিআই বা আইবি গোটা ঘটনার তদন্ত করবে। কোন কোন আধিকারিক এই ঘটনায় যুক্ত, তা খুঁজে বের করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাদের বিরুদ্ধে। বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ জানিয়েছে মঙ্গলবার ফের হাজিরা দিতে হবে বলে এসএসসির সচিবকে।
Liquor prices-দারুণ কমে বিয়ার,বিলিতি সুরা জলের দরে,রইল কলকাতায় মদের দামের তালিকা
Mysterious lake -ভারতের এই হ্রদের ওপর দিয়ে উড়েছিল অনেক বিমান,আর মেলেনি খোঁজ
Climate Summit-জলবায়ু চুক্তির বিরোধিতায় ২১টি দেশ, কোন প্রশ্নে এককাট্টা ভারত-চিন
উল্লেখ্য, ২০১৬-তে নির্দিষ্ট সময়সীমার পরেও স্কুলে গ্রুপ ডি নিয়োগের অভিযোগে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। হাইকোর্টে হাজির থেকে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিতে বলার পাশাপাশি হুঁশিয়ারির সুরে সিবিআই তদন্তের বিষয়টি জানিয়েছেন বিচারপতি। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন রোজই কিছু না কিছু অনিয়ম সামনে আসছে। সিআইএসএফ বা সিআরপিএফ গোটা অফিসের দখল নেওয়ার পর তদন্ত চলবে। সবরকম অনিয়ম খুঁজে বের করা হবে।
এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জানান, পুরো কমিশনকে বরখাস্ত করে দেওয়া হবে অসঙ্গতির প্রমাণ পেলে। অন্যদিকে এই মামলার শুনানিতে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গড়ে তদন্তের আর্জি জানায় রাজ্য। এসএসসির আইনজীবী কিশোর দত্ত আরও সময় চান। এদিন দুপুর তিনটে পর্যন্ত কমিশনকে সময় দেয় আদালত।