সংক্ষিপ্ত
শুক্রবারই প্রার্থী ঘোষণা তৃণমূল-বামেদের। কালীঘাটে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় দলীয় বৈঠকে বসবেন।, তারপরেই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করা হবে বলে খবর।
শুক্রবারই প্রার্থী ঘোষণা তৃণমূল-বামেদের। উল্লেখ্য, ইতিমধ্য়েই কলকাতা পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (WB ELection Commission)। সূত্রের খবর, এদিনই প্রার্থীদের ঘোষণা করবে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) এবং প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে বামফ্রন্টও (Left Front)।
শুক্রবারই কালীঘাটে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) দলীয় বৈঠকে বসবেন। তারপরেই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করা হবে বলে খবর। এবার তৃণমূলের প্রার্থীতালিকায় যুবক এবং মহিলাদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, কলকাতা পুরসভা ১৪৪ টি ওয়ার্ডে ভোট। সূত্রের খবর, কলকাতার ১৪৪ ওয়ার্ডের মধ্যে ১৬ টি ওয়ার্ডে প্রার্থী দেবে না বামফ্রন্ট। কংগ্রেসকে সুবিধা করে দিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বামেরা। বামেদের প্রার্থী ভাগাভাগির ক্ষেত্রে সিপিএমের হাতে থাকতে পারে ৮০ থেকে ৮৫ টি ওয়ার্ড। এরপরেই ফরওয়ার্ড ব্লকের নাম রয়েছে। ১০ থেকে ১২ টি ওয়ার্ডে প্রার্থী দিতে পারবে ফব। সিপিআই প্রার্থী ৮ থেকে ১১ টি ওয়ার্ডে তাঁদের সংগঠনের মুখকে তুলে ধরতে পারে। আরএসপি দিতে পারে ৯ থেকে ১১ টি জায়গা। গতবার পুরভোট জয়ী কাউন্সিলরদের মধ্যে ৫০ শতাংশকে টিকিট দেওয়া হবে বলে বামফন্ট্র সূত্রে খবর। প্রার্থী তালিকায় নতুন মুখও আসতে পারে ৫৫ শতাংশ। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে একুশের নির্বাচনের মতোই তরুণরা প্রাধান্য পাবে বলে খবর।
অপরদিকে, কলকাতা পুরসভার ভোট নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারির সঙ্গে সঙ্গে এদিন প্রার্থীদের নাম ঘোষণা হয়ে যেতে চলেছে । কিন্তু ঝুলে রয়েছে হাওড়া পুরভোটের ভাগ্য। ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা এবং হাওড়া পুরসভার ভোট প্রথম থেকেই একদিনে করতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার। নবান্নের প্রস্তাবে সম্মতিও দিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এরপরেই ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা ও হাওড়া পুরভোটের দিনক্ষণ মোটের উপর স্থির হয়। আর ২২ ডিসেম্বর ফল প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু হাওড়া পুরসভা সংশোধনী বিল ২০২১, যএ বিলে হাওড়া পুরসভা থেকে বালিকে পৃথক পুরসভা করার প্রস্তাব বিধানসভায় গৃহীত হয়েছে, সেই বিলে সেই বিলে এখনও সই করেননি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। উল্লেখ্য, এদিকে মেয়াদ শেষ হলেও রাজ্যে ২০১৮ সালের পর থেকে পুরভোট হয়নি। রাজ্যোর মোট ১১৬ টি পুর নিগম এবং পুরসভার ভোট বাকি রয়েছে। তারই মাঝে বেঁকে বসে বিজেপি। কেন রাজ্য সব পুরসভায় একসঙ্গে ভোট হচ্ছে না, প্রশ্ন তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয় বিজেপি।