সংক্ষিপ্ত
রায় ঘোষণার সময় বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বলেছিলেন, জনপ্রতিনিধি হওয়ায় সময় অনুযায়ী শুভেন্দু অধিকারীকে তদন্তের স্বার্থে ডাকা যেতে পারে। ভবিষ্যতেও কোনও মামলার প্রেক্ষিতে শুভেন্দুকে গ্রেফতার করতে হলে বা কড়া পদক্ষেপ নিতে হলে আদালতের অনুমতি লাগবে।
বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল রাজ্য। বিচারপতিদের অনুমতি নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। আগামীকাল মামলার শুনানি হতে পারে।
দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর মৃত্যু মামলায় গতকাল ভবানীভবনে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল শুভেন্দুর। কিন্তু, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকার কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেখানেই বড় স্বস্তি পান তিনি। হাইকোর্টের তরফে শুভেন্দুকে রক্ষাকবচ দিয়ে বলা হয়, এখনই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না। তাঁর বিরুদ্ধে যতগুলি মামলা রয়েছে তাতে তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না। গ্রেফতার করতে হলে আদালতের অনুমতি লাগবে।
শুভেন্দুর বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা চলছে। তাঁর আইনজীবীর তরফে হাইকোর্টে জানানো হয়েছিল, পাঁচটি বিচারাধীন মামলা থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হোক অথবা সেগুলি সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়া হোক। আইনজীবীর প্রশ্ন ছিল, যে মামলা কলকাতা হাইকোর্টে বিচারাধীন সেখানে কীভাবে শুভেন্দু অধিকারীকে হাজিরা দিতে বলে তদন্তকারী সংস্থা। এরপর তিনটি মালায় স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট। তবে বাকি দুটি মামলা চলবে বলে জানানো হয়েছে। তবে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ।
আরও পড়ুন- করোনার মধ্যে নতুন আতঙ্ক কামারহাটিতে, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত বহু, মৃত ২
আরও পড়ুন- ভুয়ো টিকাকাণ্ডে তৎপরতা, দেবাঞ্জন দেবকে জেলে গিয়ে জেরার অনুমতি পেল ইডি
এছাড়া রায় ঘোষণার সময় বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বলেছিলেন, জনপ্রতিনিধি হওয়ায় সময় অনুযায়ী শুভেন্দু অধিকারীকে তদন্তের স্বার্থে ডাকা যেতে পারে। ভবিষ্যতেও কোনও মামলার প্রেক্ষিতে শুভেন্দুকে গ্রেফতার করতে হলে বা কড়া পদক্ষেপ নিতে হলে আদালতের অনুমতি লাগবে।
আরও পড়ুন- 'আগে ইডি সিবিআই থেকে বাঁচুন, পরে আমাদের বিধায়কদের নিয়ে ভাববেন', অভিষেককে খোঁচা দিলীপের
যদিও সিঙ্গল বেঞ্চের এই সিদ্ধান্ত পছন্দ হয়নি রাজ্য সরকারের। আর সেই কারণেই ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল রাজ্য।