সংক্ষিপ্ত

  • বিজেপি-তে যেতে পারেন শোভন চট্টোপাধ্যায়
  • সম্ভাবনা জোরাল হতেই আসরে তৃণমূল 
  • শোভনকে বোঝানোর দায়িত্ব দেওয়া হল পার্থ চট্টেপাধ্যায়কে
  • বেহালার কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
     

মধ্যমণি শোভন। আর তাঁকে নিয়েই এখন প্রবল টানাপোড়েন বিজেপি এবং তৃণমূলে। রাজনৈতিক মহলের খবর অন্তত এমনই। 

সূত্রের খবর, শোভন বিজেপি-তে যেতে পারেন বলে খবর পৌঁছেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। এমন কী, সম্প্রতি শোভনের সঙ্গে বিজেপি-র দুই সর্বভারতীয় নেতার বৈঠকও হয়েছে বলে খবর রয়েছে শাসক দলের অন্দরে। একই সঙ্গে তৃণমূলের প্রায় চল্লিশজন কাউন্সিলরকে নিয়ে আলাদা বৈঠক করেছেন শোভনও। আর এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে শাসক দল। 

আরও পড়ুন- তৃণমূল বিধায়কদের জন্য নতুন শর্ত, দলীয় সভায় নির্দেশ মমতার

এর পরেই শোভনকে আটকাতে তৎপর হয়েছে তৃণমূল। তাদের আপাতত জোড়া কৌশল। প্রথমত, বুঝিয়ে সুঝিয়ে ফের শোভনকে দলে গুরুত্ব দিয়ে ফিরিয়ে আনা। আর একান্তই যদি শোভনকে আটকানো সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে দল ভেঙে কোনও কাউন্সিলরকে যাতে শোভন বিজেপি-তে না নিয়ে যেতে পারেন, সেটা নিশ্চিত করা। 

শুক্রবারই বেহালা অঞ্চলের প্রায় ১৯ জন কাউন্সিলরকে নিয়ে বৈঠক করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এর পরে ওই কাউন্সিলরদের সঙ্গে বিধানসভায় বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রীও। শোভনের অনুপস্থিতিতে বেহালায় যাতে কোনও পরিষেবা ব্যাহত না হয় এবং জনসংযোগ যাতে বাড়ানো হয়, সেই নির্দেশ দেন দলনেত্রী। এর পাশাপাশি শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বোঝানোর জন্য দলের মহাসচিব এবং শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দিয়েছেন মমতা। ঘরের ছেলেকে ঘরে ফেরানোর দায়িত্ব এখন তাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেই পালন করতে হবে। ইতিমধ্যেই শোভনের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও পার্থ কথা বলেছেন বলে খবর। কিছুদিন আগে একবার মেয়র ফিরহাদ হাকিম শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করে দলের কাজে ফেরার যোগ দেওয়ার অনুরোধ করলেও অবশ্য তাতে শোভনের অভিমান ভাঙেনি। 

তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই শোভনের বিজেপি-তে যোগদানের সম্ভাবনা থাকলেও সেই পথে তিনি হাঁটেননি। শেষ পর্যন্ত তিনি সত্যিই গেরুয়া শিবিরে গেলে, আগামী বছর কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের আগে তা বড়সড় ধাক্কা হবে শাসক দলের জন্য।