সংক্ষিপ্ত

'গোটাটাই চক্রান্ত' ৫ শিক্ষাকার বিষ খেয়ে আত্মহত্যা চেষ্টার ঘটনায় বিস্ফোরক কুণাল -ব্রাত্য ।  ত্রিপুরায় ১০ হাজার ৩২৩ জন নিয়মিত শিক্ষক চাকরি হারালেও কী করেছে বিজেপি ' প্রশ্ন রাখলেন কুণাল ঘোষ।

'এরা শিক্ষক শিক্ষিকা নন, বিজেপি ক্যাডার,  গোটাটাই চক্রান্ত' ৫ শিক্ষাকার বিষ খেয়ে আত্মহত্যা চেষ্টার ঘটনায় বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ এবং ব্রাত্য বসু।  এএসকে-এমএসকে নিয়ে রাজ্য সরকারের পদক্ষেপগুলি নিয়ে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। 

আরও পড়ুন, শুধু 'বদলি' নয়, ৫ শিক্ষিকার আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনায় DA সহ একাধিক গুরুতর অভিযোগ দিলীপের

কুণাল ঘোষ বলেছেন, ' এএসকে-এমএসকে (ASK-MSK) নিয়ে রাজ্য সরকারের এতগুলি পদক্ষেপ আগে দেখুন। তালিকাটা মুখস্থ করুন। রাজনীতি করার আগে কৈফিয়ত দিন ত্রিপুরায় ১০ হাজার ৩২৩ জন নিয়মিত শিক্ষক চাকরি হারালেও বিজেপি কী করেছে। ভোট ইস্তেহারে লিখলেও, কেন নিষ্ক্রিয় বলে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। কুণাল আরও বলেছেন, অনেকে আত্মঘাতী। ওঁদের দাবি মানুন। নাটক পরে করবেন। বাম জমানার সঙ্গে তুলনায় স্পষ্ট, এখন বহু ইতিবাচক পদক্ষেপ চলছে। সেখানে প্ররোচনামূলক আন্দোলনের প্রশ্ন কোথায়,রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই এসব হয়।যিনি মুখ্যমন্ত্রীর সভায় বিশৃঙ্খলা করেন, তিনিই বিকাশ ভবনের দৃশ্যে। এসব সত্যি হলে গোটাটাই চক্রান্ত। সরকার কাজ করছেন। করতে দিন। সহায়কদের সাম্মানিক বাড়িয়ে ১০ হাজার ৩৪০ টাকা এবং সম্প্রসারকদের ১৩ হাজার ৩৯০ টাকা করা হয়েছে। সঙ্গে বছরে ৩ শতাংশ বৃদ্ধি। আগে ছিল ৫ হাজার ৪০০। সবাই স্বাস্থ্যসাথীর আওতায়। ৬০ বছরে অবসরে এককালীন ৩ লক্ষ টাকা। বাকিদের কথা চলছে। ৬০-এ অবসরে ১/২/২১ থেকে পিএফ। মাতৃত্বকালীন ছুটি। বছরে ১৮ দিন ছুটি।'

"

আরও পড়ুন, আশঙ্কাজনক অবস্থা ৫ শিক্ষিকার, টুইটে বিস্ফোরক শুভেন্দু 
একই সুর টেনে ব্রাত্য বসুও বলেছেন, বাম সরকারের আমলে পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন বিভাগের অধীনেএএসকে-এমএসকে-র সহায়ক/সহায়িকা, সম্প্রসারক/সম্প্রসারিকারা নামমাত্র সাম্মানিক-এর বিনিময়ে কাজ করতেন। কাজের নিশ্চয়তা, আর্থিক নিরাপত্তা এবং অবসরকালীন সুযোগসুবিধা বলে কিছু ছিল না।কিন্তু মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল সরকার ১লা ডিসেম্বর, ২০২০ থেকে এএসকে-এমএসকে-গুলিকে বিদ্যালয় শিক্ষা বিভাগের অধীনে এনে একটি সুসংবদ্ধ রূপ দেয়। তারপরেও যারা আন্দোলন করছেন, তারা শিক্ষক শিক্ষিকা নন, বিজেপি ক্যাডার।' প্রসঙ্গত, 'অন্যায়ভাবে' বদলি করার অভিযোগে মঙ্গলবার সকালে বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন পাঁচজন শিক্ষিকা। এঁদের সবার বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায়। অভিযোগ, তাঁদের বেআইনিভাবে কোচবিহারের দিনহাটাতে বদলি করা হয়েছে। এত দূর চাকরি করতে যাওয়া তাঁদের পক্ষে কোনওভাবেই সম্ভব নয়। সেই কারণে বাড়ির কাছে বদলির দাবি জানিয়েছিলেন তাঁরা। তাঁদের দাবি ছিল, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হোক। কিন্তু, পুলিশ তাঁদের বাধা দিলে পুলিশের সামনেই আচমকা বিষ পান করেন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গেই অসুস্থ হয়ে মাটিতে পড়ে যান। মঙ্গলবারই তাঁদের পাঁচজনকেই হাসপাতালে  ভর্তি করা হয়েছে।  সূত্রের খবর, বুধবার ওই ৫ শিক্ষিকার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এনাদের মধ্য়ে তিনজনকে আইসিইউ-তে দেওয়া হয়েছে।

 

 

  আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে  

আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়  

আরও পড়ুন, রাজ্য়ের সর্বনিম্ন সংক্রমণ এই জেলায়, বৃষ্টিতে হারাতেই পারেন পুরুলিয়ার পাহাড়ে

আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ  

আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা 

আরও পড়ুন, বনগাঁ লোকাল নয়, জাপানে ঠেলা মেরে ট্রেনে তোলে প্রোফেশনাল পুশার, রইল পৃথিবীর আজব কাজের হদিস 

YouTube video player