সংক্ষিপ্ত
বৈভবের তৃণমূল ভবন চান না রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তবে এই মুহূর্তে কাজ চালানোর জন্য দক্ষিণ কলকাতার একটি বাড়ি ভাড়া নেওয়ার কথা বলে দিয়েছেন তিনি।
বৈভবের তৃণমূল ভবন (TMC Bhaban) চান না রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। এই কারণে দলের তৈরি নতুন দফতর তৈরি নিয়ে যে পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তার পুনর্বিবেচনা শুরু করা হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে কাজ চালানোর জন্য দক্ষিণ কলকাতার একটি বাড়ি ভাড়া নেওয়ার কথা বলে দিয়েছেন তিনি (Mamata Banerjee )।
উল্লেখ্য, বাইপাসের ধারে ধাপার জমিতে তৃণমূলের একটি অফিসবাড়ি ছিল। সেটি ভেঙে ২০২১ সালের মাঝামাঝি থেকেই নতুন বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হয়। তবে অত্যাধুনিক ব্যবস্থা-সহ এই ভবন তৈরিতে সায় নেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের। আরও একবার চেয়ারপার্সন নির্বাচনের পর দলের শীর্ষ নের্তৃত্বের সঙ্গে প্রথম বৈঠকে শনিবার মমতা বলে দিয়েছেন ওই রকম বাড়িতে সায় নেই তাঁর। নয়া কমিটির প্রথম বৈঠকে আর্থিক, সাংগাঠনিক, রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক দায়িত্ব মমতার হাতে দেন দলের শীর্ষ নের্তৃত্ব। সেই সূত্র ধরেই মমতা এই সকল বিষয়ে আলোচনা করেন। বৈঠকে হিসাব পরীক্ষককে ডেকে দলের আর্থিক অবস্থা, আয়-ব্যয়, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নিয়ে তিনি নির্দিষ্ট করে দেন, দলের অর্থের অর্ধেক অংশ রাজ্য সংগঠনের প্রয়োজনে খরচ করতে হবে। সেই সূত্রেই আসে তৃণমূল ভবনের প্রসঙ্গ।
আরও পড়ুন, 'আমাদের দল মা-মাটি-মানুষের দল', বৈভবের তৃণমূল ভবন চান না মমতা
২০০৪ সালে তৈরি হয়েছিল পুরোনো তৃণমূল ভবন। তিনতলা বাড়িতে জায়গা অনেক থাকলেও সেখানে আধুনিকতার স্পর্শ মোটেই ছিল না। তবে সাবেকি ঘরানাই ছিল বলা যেতে পারে। দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব নেওয়ার পর এই বাড়িটি ভেঙে একেবারে নতুন করে তৃণমূলের কেন্দ্রীয় দফতর তৈরির জন্য উদ্যোগী হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। নতুন পরিকল্পনায় নেতা-ক্রমী-পদাধিকারিদের বসার ঘর, ক্যান্টিন, কার পার্কিং, কনফারেন্স হল সহ একাধিক অত্যাধুনিক ব্যবস্থা পরিকল্পনার কথা ভাবা হয়েছিল। নতুন এই বাড়ি তৈরি জন্য সাংসদ এবং বিধায়কদের থেকে ১ লক্ষ করে টাকাও চাওয়া হয়েছিল। নতুন অফিস ভবন তৈরি না হওয়া অবধি অস্থায়ী দুটি অফিসঘরও তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু মমতা মনে করেন 'এররকম কোনও অফিসের দরকার নেই।'
মমতা বৈঠক তৃণমূলের শীর্ষ নের্তৃত্বকে বলেন, 'আমাদের দল মা-মাটি-মানুষের দল। এটাই আমাদের স্লোগান। সরকারের মনোভাব তাই। আমাদের দলের অফিসে বাহুল্য থাকতে পারে না। আমি কোথায় বসব বলে প্রশ্ন করে বলেন, আমি ওখানে বসতে পারি না ।' অভিষেকের অবস্থান ঘিরে সাম্প্রতিককালের টানাপোড়েনের পরিপ্রেক্ষিতে মমতার এই সিদ্ধান্ত তাৎপর্য বলেই গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে।