সংক্ষিপ্ত

পয়গম্বর বিতর্কের অশান্তির পর বুলডোজার চলেছিল উত্তর প্রদেশের কানপুর, সাহারানপুর, প্রয়াগরাজে। অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে বেশ কিছু মানুষের বাড়ি ঘরের উপর দিয়ে বুলডোজার চালিয়ে দেওয়া হয়েছিল যোগী রাজ্যে। 

যোগী মডেলের কথা মনে করিয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ মহুয়া মৈত্রর। গতকালের নবান্ন অভিযানে অশান্তির ঘটনায় যোগীর 'বুলডোজার' তত্ত্ব টেনে টুইটে খোঁচা তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর। প্রসঙ্গত পয়গম্বর বিতর্কের অশান্তির পর বুলডোজার চলেছিল উত্তর প্রদেশের কানপুর, সাহারানপুর, প্রয়াগরাজে। অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে বেশ কিছু মানুষের বাড়ি ঘরের উপর দিয়ে বুলডোজার চালিয়ে দেওয়া হয়েছিল যোগী রাজ্যে। এবার বাংলায় নবান্ন অভিযানে পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরানো, অশান্তির ঘটনায় সেই প্রসঙ্গই টেনে আনলেন তৃণমূল সাংসদ। 

বুধবার টুইট করে মহুয়া মৈত্র বলেন, "যদি ভোগী অজয় বিস্তের মডেল ব্যবহার করে বাংলাও সরকারি সম্পত্তি বিনষ্টকারী বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে বুলডোজার চালিয়ে দেওয়া হয়, তবে কেমন হত? বিজেপি কি নিজেদের নীতিতে অনড় থাকবে?"

 

পুলিশকে আক্রমণ করে পালটা দিলেন সুকান্ত মজুমদার। বুধবার একটি ভিডিও টুইট করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, "তৃণমূল সরকারের বিরোধীতায় বিক্ষুব্ধ জনতাকে নিয়ন্ত্রণ না করতে পেরে সমবেত জনতার উপর ঢিল ছুড়তে দেখা যায় পুলিশ কর্মীকে। পুলিশকে ব্যবহার করে এভাবেই নোংরা খেলা খেলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।" এই প্রসঙ্গে রাহুল সিনহা বলেন, "এখনও পর্যন্ত সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের প্রমাণ মেলেনি।"

গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করেন, "শুধু বাংলা নয় গোটা দেশ আজ বিজেপির ধ্বংসলীলার সাক্ষী থাকল। আমরা ভাবতেও পারছি না ক্ষমতায় এলে এরা কতটা ভয়াবহ হতে পারে। বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য বাংলার জনগনকে ধন্যবাদ জানাই।"

 

আরও পড়ুনবিজেপি কর্মী-সমর্থকদের হাতে আক্রান্ত কলকাতা পুলিশের এসি, নবান্ন অভিযান কর্মসূচিতে জখম অন্তত ৩০ পুলিশ কর্মী

গতকাল বিজেপির নবান্ন অভিযান কর্মসূচিতে গলকাল কলেজ স্ট্রিট থেকে হাওড়ার দিকে আসে একটি মিছিল। হাওড়া ব্রিজের কাছে এসে সেই মিছিল রীতিমত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশের সঙ্গে খন্ড যুদ্ধ বাঁধে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের। এলোপাথারি ঢিল ছোড়ায় জখম হন একাধিক পুলিশ কর্মী। কলকাতা পুলিশ সূত্রে দাবি লালবাজারের সেন্ট্রাল ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলে তাঁর উপর চরাও হয় বিক্ষোভকারীরা।  দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে একা পেয়ে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলা হয় এবং রাস্তায় ফেলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। ঘটনায় হাত ভেঙে যায় কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারের। কোনও মতে তাঁকে উদ্ধার করে SSKM হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখানেই শেষ নয়, মহাত্মা গান্ধী রোডে পেট্রল ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের একটি গাড়ি। 
আরও পড়ুন-  বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার, পুলিশের গাড়িতে আগুন- দেখুন সেরা ১৫টি ছবি

আরও পড়ুন -  জল কামান-কাঁদানে গ্যাসে অসুস্থ বিজেপি কর্মীরা, ২টো ৪০-এ নবান্ন অভিযান শেষ বলে জানালেন দিলীপ ঘোষ