সংক্ষিপ্ত
- হাওড়ায় তৃণমূলকর্মীকে গুলি করে খুন
- খুনের নেপথ্যে কী
- জানতে তদন্ত করছে পুলিশ
- ঘটনার জেরে এলাকায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি
বিশ্বনাথ দাস, হাওড়া- ফের শুট আউট হাওড়ায়। ঘটনায় দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গতকাল বিকেলে শালিমার স্টেশনের বাইরে ওই ব্যক্তি ধর্মেন্দর সিং দাঁড়িয়ে থাকার তাঁকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই তৃণমূলকর্মীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ঘটনার জেরে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। বাস-বাইক সহ রাস্তার পাশের দোকানগুলিতে ভাঙচুর চালানো হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় নামে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
আরও পড়ুন-'আজকের দিনেই নেতাজি প্রথমবার পোর্টব্লেয়ারে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন', স্মরণে দুই শিবির
জানাগেছে, ওই ঘটনার তদন্ত নামে হাওড়া সিটি পুলিশ। বর্ধমান থেকে গ্রেফতার করা হয় চন্দন সিং ও ভিকি সিং নামে দুই অভিযুক্তকে। জাানগেছে, সোমবার বিকেলে শালিমার স্টেশনের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন তৃণমূল কর্মী ধর্মেন্দর সিং। সেই সময় দুষ্কৃতীরা বাইকে করে এসে তাঁকে লক্ষ্য করে পিছন থেকে গুলি করে। এলোপাথাড়ি কয়েক রাউন্ড গুলি চালানোর পর এলাকায় থেকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরই তাঁক মৃত্যু হয়। ঘটনার জেরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয় এলাকায়। ঘটনার প্রতিবাদে বি-গার্ডেন চত্বরে ভাঙচুর চালানো হয়। বেশ কয়েকটি বাইক ও বাসে ভাঙচুর চালায় স্থানীয়। দফায় দফায় বিক্ষোভ উত্তেজনার জেরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির তৈরি হয় গোটা এলাকায়। পরিস্থিকি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী।
আরও পড়ুন-'ভাঁওতাবাজির নতুন নাম, পাড়ায় পাড়ায় সমাধান', খড়দহ থেকে তৃণমূলকে কটাক্ষ শুভেন্দুর
তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক কারন থাকলেও থাকতে পারে। তবে বিষয়টির নেপথ্যে কী আছে। তা জানতে তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। অন্যদিকে, বিজেপির সভাপতি সুরজিৎ রায় বলেন, এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। নিহত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আগেও অনেক মামলা রয়েছে। এলাকায় তীব্র উত্তেজনার পর, এখন এলাকার পরিস্থিতি থমথমে। নামানো হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।