সংক্ষিপ্ত
ভবানীপুরকাণ্ডে অভিযুক্তদের দম্পতিকে খুন করার জন্য সুপারি দেওয়া হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। ধৃতরা দম্পতির পূর্বপরিচিত। বুধবারই আটক করা হয়েছে। রাতভর দুই অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডে ২-৩ জন যুক্ত রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ।
ভবানীপুরে দম্পতি খুনে ইতিমধ্যেই দুজনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্তের সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি। তদন্তকারীদের অনুমান আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত সমস্যার কারণেই গুজরাটি দম্পতিকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। তিন দিনের মাথায় ভাবানীপুরের জোড়া খুনে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা বড় সাফল্য হিসেবেই মনে করছে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ দেখেই রহস্যের সমাধান করা ও অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে বলেও সূত্রের খবর।
ভবানীপুরকাণ্ডে অভিযুক্তদের দম্পতিকে খুন করার জন্য সুপারি দেওয়া হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। ধৃতরা দম্পতির পূর্বপরিচিত। বুধবারই আটক করা হয়েছে। রাতভর দুই অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডে ২-৩ জন যুক্ত রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ। অন্যদিতে আগেই পুলিশের হাতে এসেছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবসায়ী অশোক শাহকে ছুরি দিয়ে বা ধারালো কোনও অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। আর তাঁর স্ত্রী রেশ্মিতাকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। সোমবার দুপুর দেড়টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে।
সোমবার সন্ধ্যবেলা ভবানীপুর হরিশ মুখার্জি রোডের একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় গুজরাতি দম্পতির দেহ। মৃতরা হলের অশোক শাহ ও তাঁর স্ত্রী রেশমি। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন অশোক শেয়ার বাজারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে দুজনের শরীরে আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট। তাই প্রথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে তাঁদের খুন করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট থেকেই স্পষ্ট হবে কী করে মৃত্যু হয়েছে দম্পতির। দম্পতির তিন মেয়ে- একজন এই ফ্ল্যাটেই থাকে। সেই প্রথম দেখতে পায় দেহ। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন দম্পতির মেয়ে সন্ধ্য ৬টা নাগাদ ফ্ল্যাটে আসে। দরজা খোলা দেখে ভিরতে ঢুকে বাবা ও মায়ের নিথর দেহ দেখতে পায়। ঘরে তখনও ফ্যান ও লাইট জ্বলছে। চলছিল টিভিও। খোলা ছিল আলমারি। সেই প্রথম প্রতিবেশী ও পুলিশকে খবর দেয়। রাতের দিকে ঘটনাস্থলে আসেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। অপরাধীরা ছাড়া পাবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গ থেকেই দ্রুত অপরধীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অপরাধীদের চিহ্নিত করতে পুলিশের মূল হাতিয়ার হল স্থানীয় সিটিটিভি ফুটেজ। কারণ যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে তার থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি। তাই নিরাপত্তার কারণে গোটা এলাকাই মুড়ে রাখা হয়েছে সিসিটিভি দিয়ে। পুলিশও সেই ফুটেজগুলি খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে।
দ্রুত ছড়াচ্ছে মাঙ্কিপক্স, কঠোরভাবে সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
রোদ্দুর রায়কে পেশ করা হবে ব্যাঙ্কশাল আদালতে, গোয়া থেকে গ্রেফতার ইউটিউবার