সংক্ষিপ্ত
কসবা ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডের শিকার হওয়া মানুষদের জন্য অবশেষে শুরু হল টিকাকরণ কর্মসূচি। জানা গিয়েছে, অন্তত ৭০০ জনের টিকাকরণে একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
কসবা ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডের শিকার হওয়া মানুষদের জন্য অবশেষে শুরু হল টিকাকরণ কর্মসূচি। সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতাল এবং বাঙুর হাসপাতাল থেকে এই টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হল শুক্রবার থেকে। সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে এই দিন অন্তত ২০০ মানুষের টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়। যাদের বাড়ি মূলত সোনারপুর এবং তার আশপাশের এলাকায় তাদের মূলত সরকারি খরচে সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে টিকা দেওয়া হচ্ছে। যাদের বাড়ি কসবা এবং তার সন্নিহিত অঞ্চলে তাদের টিকা দেওয়া হচ্ছে বাঙুর হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, অন্তত ৭০০ জনের টিকাকরণে একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তার ভিত্তিতেই এই টিকাকরণ অভিযান।
জুন মাসে কসবার এই ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডের পর্দা ফাঁস হয়। এই ভ্যাকসিনকাণ্ডের মূল মাস্টারমাইন্ড হিসাবে এই মুহূর্তে দেবাঞ্জন দেবের নাম সামনে এসেছে। যে নিজেকে পুর কমিশনার থেকে শুরু করে আইএএস এবং নানা ভুয়ো পরিচয়ে সকলের সামনে তুলে ধরেছিল। এই মুহূর্তে জেলে রয়েছে দেবাঞ্জন। তার সঙ্গে আরও ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে ভুয়ো ভ্যাকসিন-এর ক্যাম্প শুধু কসবাতেই নয় নর্থ সিটি কলেজেও করেছিল দেবাঞ্জন। তার ভুয়ো ভ্যাকসিনের শিকার হয়েছে ৯০০-র বেশি মানুষ। যারমধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী।
তদন্তে দেখা যায় সোনারপুর এলাকা এবং তার আশপাশের অনেকেই দেবাজ্ঞনের ভুয়ো ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন। ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ড সামনে আসার পর থেকেই অনেক মানুষ অসুস্থ হতে শুরু করেন। স্নায়ুর উৎকণ্ঠা রোগে অনেকে আক্রান্ত হন। সেই সময় সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালেই এদের চিকিৎসা হয়েছিল। সরকারি উদ্যোগে সোনারপুর গ্রামীণ হাসাপাতাল থেকে সবধরনের মেডিক্যাল অ্যাস্টিট্যান্স দেওয়া হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডের শিকার হওয়া মানুষদের নিখরচায় টিকাকরণের ব্যবস্থা সরকার করবে। এরই প্রেক্ষিতে শুক্রবার থেকে এদের জন্য সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতাল এবং বাঙুর হাসপাতালে টিকাকরণ অভিযাগ শুরু হয়েছে।
সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমওএইচ অনুপ মিশ্র জানিয়েছেন যে যেহেতু ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডের শিকার হওয়া মানুষ, যারা সোনারপুরের বাসিন্দা তাদের চিকিৎসা তাদের হাসপাতাল থেকেই করা হয়েছিল এবং ভুয়ো ভ্যাকসিনের কোনও খারাপ প্রভাব এদের শরীরে প্রবেশ করেছিল কি না- তাও খতিয়ে দেখা হয়েছিল, সেই কারণে টিকাকরণের ভারটাও তাদের হাসপাতালের উপর দেওয়া হয়েছে। ৭০০ জনের যে তালিকা তৈরি হয়েছে, তার বেশিরভাগটাই সোনারপুর এলাকার। সেই কারণে সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে এদের টিকাকরণের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএমওএইচ অনুপ মিশ্র। দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডক্টর সোমনাথ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সোনারপুর এবং বাঙুর থেকে এই টিকাকরণ হচ্ছে। ১৬, ১৭ এবং ১৮ তারিখ পর্যন্ত এই টিকাকরণ চলবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, রাজ্য়ের সর্বনিম্ন সংক্রমণ এই জেলায়, বৃষ্টিতে হারাতেই পারেন পুরুলিয়ার পাহাড়ে
আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও পড়ুন, বনগাঁ লোকাল নয়, জাপানে ঠেলা মেরে ট্রেনে তোলে প্রোফেশনাল পুশার, রইল পৃথিবীর আজব কাজের হদিস