সংক্ষিপ্ত
- বেহালার বরিশা ক্লাবের পরিযায়ী দুর্গা মায়ের এবার বিসর্জন হবে না
- সংরক্ষণ করে রাখা হবে শিল্পীর এই অসাধারণ সৃষ্টি
- আপাতত রবীন্দ্র সংগ্রহশালায় পরিযায়ী দুর্গা মায়ের মূর্তি রাখা হবে
- পরে স্থানান্তরিত করে শহরের কোনও আইল্য়ান্ডে বসানো হবে
বেহালার বরিশা ক্লাবের পরিযায়ী দুর্গা মায়ের এবার বিসর্জন হবে না। সংরক্ষণ করে রাখা হবে শিল্পীর এই অসাধারণ সৃষ্টি। এমনটাই পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের। সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। গভমেন্ট আর্ট কলেজের প্রাক্তণী পল্লব ভৌমিক এবারের এই পরিযায়ী দুর্গা মায়ের মূর্তি তৈরি করেছেন। ভাবনায় রিন্টু দাশ।
সারা জীবনের সঙ্গী হতে চলেছে উমা মা
জানা গিয়েছে, আপাতত রবীন্দ্র সংগ্রহশালায় পরিযায়ী দুর্গা মায়ের মূর্তি রাখা হলেও পরে স্থানান্তরিত করে শহরের কোনও আইল্য়ান্ডে বসানো হবে। করোনা পরিস্থিতির জেরে পরিযায়ী শ্রমিকের সেই দারুন দুর্যোগের দিনগুলি এবং তাঁদের সাহস আর মনোবলকে মনে করাবে এই মাতৃরুপের পরিযায়ী মহিলা। পল্লব ভৌমিকের এই অভিনব সৃষ্টি সোশ্যাল মিডিয়ায় আগেই ঝড় তুলেছে। কারও টুইটে, কারও বা ব্য়াক্তিগত ছবিতে। তবে এবার আরও খুশি কলকাতা। সারা জীবনের সঙ্গী হতে চলেছে তাঁদের উমা মা।
কোল দিয়ে যায় চেনা
প্রসঙ্গত, চলে আসা প্রথার বাইরে গিয়ে ভাষ্কর্যের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন এক মহিলা পরিযায়ী শ্রমিককে, শিল্পী পল্লব ভৌমিক । আর এবার তাঁকেই পুজো করবে বেহালার বরিশা ক্লাব। মহিলা পরিযায়ী শ্রমিকের কপালে ত্রিনয়নী। কোলে পুত্র সন্তান। সেই কি কার্তিক। উত্তর পাওয়া যাবে দর্শনেই। নীচে দাড়িয়ে তাঁর দুই মেয়ে। যাদের কোল দেখলে চেনা যাবে তাঁদের আসল পরিচয়। একজনের কোলে পেঁচা এবং অপরজনের কোলে হাঁস। দেবী এবং তাঁর সন্তানেরা এভাবেই করোনা পরিস্থিতির মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের মধ্যে বিরাজমান। কেবলমাত্র মহিলা পরিযায়ী শ্রমিক রুপে দেবী দুর্গা আপনার চোখের দিকে তাঁকাবে। তাঁর সন্তানেরা তখন ভূমির দিকে নিবিষ্ট চোখে চেয়ে আছে। আর তাঁর মাথার পিছনে ফুঁটে উঠেছে দশটা হাত। করোনা মহামারি, লকডাউনে মাসের পর মাস বাড়ি ফিরতে না পারা, না খাওয়া দাওয়া অবস্থায় লড়াই করে গেছে আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকরা। তবু হার মানেননি। চলতি বছরের দুর্গা পুজোয় মহিলা পরিযায়ী শ্রমিককে এভাবেই সম্মান জানিয়েছেন চলতি বছরের দুর্গা পুজোয় বেহালার বরিশা ক্লাব।