সংক্ষিপ্ত

  • বছরের শেষদিন গুলি একেবারেই কুয়াশায় ঢাকা
  • আজ শনিবার  সারাদিন আকাশ পরিষ্কারই থাকবে 
  • শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.১  ডিগ্রি সেলসিয়াস
  • রবিবারও জাঁকিয়ে শীত পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে
     


শহর কলকাতায় বছরের শেষদিন গুলি একেবারেই কুয়াশায় ঢাকা। মেঘলা আকাশে মাঝে মাঝেই হালকা বৃষ্টি। প্রায় প্রতিদিনই কমবেশী  পারদ নামছে আর উঠছে। তবে সেই তাপমাত্রা গত এক সপ্তাহে স্বাভাবিকের থেকে নিচেই। আবার কোনও দিন হিমেল হাওয়ার কাঁপুনিতে ঘুম ভাঙছে শহরের। বড়দিনের পর থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আর তারপরেই নেমেছে উষ্ণতার পারদ। তবে শুক্রবার সারাদিন আকাশ মেঘলা ছিল।  আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, শনিবার  আকাশ পরিষ্কারই থাকবে। 

আরও পড়ুন, হল না শেষ রক্ষে, ১৭ ঘণ্টা পর উদ্ধার হল বাঁশদ্রোণীর কুয়োয় পড়ে যাওয়া যুবকের দেহ

আবহাওয়া দফতরের খবর অনুযায়ী, শনিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ১৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ ছুঁতে পারে ১১.১  ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম।  শহরের বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বাধিক ৯৯  শতাংশ। আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ন্যূনতম ৬৮ শতাংশ।  এই মুহূর্তে শহরের তাপমাত্রা  ১৩  ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৬ ডিগ্রি কম। তবে শেষমেষ ফিরে এল কাঁপুনি দিয়ে ঠান্ডা। সাত বছর আগেও, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়টাই কাঁপুনি দিয়ে শীত পড়েছিল। সেই সময়টাই আবার মনে করিয়ে দিচ্ছে শহর কলকাতায় জাঁকিয়ে পড়া শীত। 

 

 


গতকাল পশ্চিমাঞ্চলে, উত্তরবঙ্গ সহ, সকাল থেকেই রাজ্যের সব জায়গায় বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। সময় যত গড়িয়েছে ততই বেড়েছিল বৃষ্টির পরিমাণ। বৃহস্পতিবার রাত থেকে একটানা বৃষ্টিতে ঠান্ডা আরও নেমেছে। শুক্রবার সকালের পরিস্থিতিও ছিল প্রায় একইরকম। গতকাল সকাল থেকেই কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চলেছে বৃষ্টি। সঙ্গে ঘন কুয়াশার দাপট। সেই সব মিলিয়ে আজ শনিবার এক ধাক্কায় তাপমাত্রা নামল বেশ কিছুটা।

আরও পড়ুন, আইপিএস থেকে আইএএস, তথ্য-প্রযুক্তি দপ্তরের প্রধান সচিব পদে রাজীব কুমার

রবিবারও জাঁকিয়ে ঠান্ডা থাকবে। পারদ থাকবে এগারোর কাছাকাছি। তবে নতুন বছরের শুরুটা ঝলমলে নয়, বর্ষবরণ হবে বৃষ্টি দিয়েই। পশ্চিমের জেলাতেও এখন জমিয়ে ঠান্ডা থাকবে। শনিবার দিনভর কনকনে ঠান্ডা এবং রয়েছে শৈত্য প্রবাহের সম্ভাবনা।  পশ্চিমি ঝঞ্ঝার জেরেই ফের নতুন বছরের শুরুতেই বৃষ্টি শুরু হবে।