সংক্ষিপ্ত

ওমিক্রন আতঙ্কে বইমেলা ঘিরে বাড়ল আশঙ্কা। তবে কি এবার অনিশ্চিত কলকাতা বইমেলা, ইতিমধ্যেই এনিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, উত্তর দিলেন  গিল্ড কর্তা।

ওমিক্রন আতঙ্কে বইমেলা (Kolkata Book Fair) ঘিরে বাড়ল আশঙ্কা। তবে কি এবার অনিশ্চিত কলকাতা বইমেলা, ইতিমধ্যেই এনিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও গিল্ড কর্তার দাবি, তাঁরা কলকাতা বইমেলা নিয়ে তৈরি রয়েছে। মূলত বর্ষশেষের মাসে আচমকাই দেশের পাশাপাশি কলকাতাতেও মাথা চাড়া দিয়েছে কোভিডের (Covid-19) নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন (Omicron)। গত কয়েকদিনে কোভিড গ্রাফ বেলাগামভাবে বাড়ছে কলকাতা সহ রাজ্যে। এবং গত চব্বিশ ঘন্টায় স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী তা ১ হাজারের গণ্ডী ছাড়িয়ে যায়। এহেন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা নিয়েও উদ্বেগ বেড়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে কোভিড সংক্রমণের কারণে বন্ধ ছিল আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। শেষবার বইমেলা হয় ২০১৯ সালে। এদিকে একুশের লাগামছাড়া সংক্রমণ পুজোর আগে ধীরে ধীরে কমে আসে। শহরের অধিকাংশ মানুষের কোভিড টিকার দ্বিতীয় ডোজ হয়ে যাওয়ার পর স্বাভাবিকভাবে কলকাতা বইমেলা হওয়ার সম্ভাবনা বাড়তে থাকে। সেকারণে ৩১ জানুয়ারি থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি অবধি মেলার তারিখও ঠিক করা হয়। কিন্তু আচমকাই ফের বেলাগাম হয়ে পড়ে কোভিড সংক্রমণ কলকাতায়। বুধবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুয়ায়ী, রাজ্যে এক লাফে দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে ১০৮৯। যার মধ্য়ে ৫৪০ জন আক্রান্ত হয়েছে শুধু কলকাতাতেই। অর্থাৎ গোটা রাজ্যের অর্ধেক সংক্রমণ হচ্ছে মহানগরেই। যার জেরে রাজ্য়ের স্বাস্থ্যকর্তারাই মনে করছে, কোভিডের তৃতীয় ঢেউ চলে এসেছে। তাই এবার গোটা পরিস্থিতিটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে বলে অনুমান।

করোনা বিশেষজ্ঞদের মতে একটি ঢেউ এলে, তা বিদায় নিতে সময় নেয় ৬ সপ্তাহ অর্থাৎ ৪২ দিন। তাই যদি কোভিডের তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গিয়ে থাকে, সেটা ফেব্রুয়ারির মাঝখান অবধি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাৎ সেই সময়ের পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। এদিকে কলকাতা বইমেলা নিশ্চিৎভাবে হবে ধরে নিয়েই এবার জেলার বইমেলাগুলি রাখা হয়েছে। তখনই ঠিক হয়েছে জানুয়ারির শেষ থেকে জেলার বই মেলা হবে না। কারণ তখন কলকাতা বইমেলার প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন জেলার প্রকাশকরা।এদিকে ২০২০ সালে কলকাতা বইমেলা না হওয়ায় একুশের দিকেই তাকিয়ে ছিলেন সব প্রকাশকরা। এদিকে আচমকা ফের আগের মতোই কোভিডের দাপটে শেষে বইমেলা ফের না বন্ধ হয়ে যায়, এই চিন্তায় ঘুম উঠেছে সবার।

আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার উদ্যোক্তা গিল্ডের কর্তা ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, 'আমরা সকল রকমের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। স্টল বুকিং, টেবিল বুকিং প্রায় শেষ। এবারের থিম অনুযায়ী বাংলাদেশের বিভিন্ন তোরণ বা অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিও চলছে। আমরা আমাদের পরিকল্পনা মতোই এগোচ্ছি।' এরপরেই অবধারিতভাবে প্রশ্ন উঠছে তাহলে কলকাতা বইমেলা কি নিশ্চিতভাবে হচ্ছে। যদিও এই প্রসঙ্গে গিল্ডের কর্তা বলেছেন, 'পরিস্থিতি অনুযায়ী সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। সরকার মনে করলে বইমেলা হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় যেটা চাইবেন সেটাই হবে। আমাদের উনি যেভাবে এগোতে বলবেন, সেভাবেই এগোব। তবে এখনও পর্যন্ত আমরা আমাদের প্রস্তুতিতে কোনওরকম ঢিলে দিচ্ছি না।' গিল্ডের অপর এক কর্তা জানিয়েছেন, ১৫ সেপ্টেম্বরে তাঁরা রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং অন্যান্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে মেলার প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করেছেন। তখন যদিও কোভিড সংক্রমণ এতটা বাড়েনি। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সবটাই নতুন করে ভাবতে হবে।