সংক্ষিপ্ত

  • ভয়াবহ আগুনের কবলে হাওড়া।  
  • এবার ঘটনাস্থল  হাওড়া ব্রিজের নীচে জগন্নাথ ঘাট।
  • বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে এক রাসায়নিক কারখানা।

ভয়াবহ আগুনের কবলে হাওড়া।  এবার ঘটনাস্থল  হাওড়া ব্রিজের নীচে জগন্নাথ ঘাট। বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে এক রাসায়নিক কারখানা। 

ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যে দমকলের  ২০টি ইঞ্জিন পৌঁছেছে। সূত্রের খবর, রাত ২টো নাগাদ আগুন লাগে এই রাসায়নিক কারখানায় ।

ঠিক কী ভাবে আগুন লাগে? প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে পাশে ঝুপড়িতে আগুন লাগে। তারপরে সেই আগুন লাগে একটি গাড়িতে। সেখান থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে এক রাসায়নিক কারখানায়। সশব্দে বিস্ফোরণ হতে থাকে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এখনও বিস্ফোরণ হচ্ছে, একের পরে এক অংশ ভেঙে পড়ছে ওই কারখানার। দমকলের পক্ষে ঘটনার উৎসস্থলেই পৌঁছনো সম্ভব হয়নি। আপাতত দমকল চাইছে আগুনের উৎসস্থলে পৌঁছতে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর।  এই মুহূর্তে খালি করা হচ্ছে গোটা এলাকা। দমকল সূত্রে খবর আশেপাশের বহুতলগুলিতে যাতে আগুন না ছড়ায় সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। গোটা কারখানা রাসায়নিক দাহ্যে ঠাসা থাকায় এই আগুন প্রাথমিক ভাবে জলের ঝাপটায় কমার বদলে আরও বেড়ে যায়। এখন দমকলকর্মীরা জলের সঙ্গে ফোমও ব্যবহার করছেন এই আগুন বশে আনতে। 

এই কারখানাগুলিতে জমা করা দাহ্যবস্তু নিয়ে মাথাব্যথা নেই কারও। আশেপাশের ঝুপড়িগুলিতেও চলছে বেআইনি ভাবে স্টোভ জ্বালানো। ডাই করা হচ্ছে দাহ্যবস্তু। ফলে বারবার আগুন লাগছে এই অঞ্চলে। প্রশাসনের নাকের ডগায় এগুলি দিনের পর দিন ঘটলেও প্রশাসন নির্বিকার। গত ১১ মে আগুন লাগে অম্বিকা জুটমিলে। সেখানেও একই ভাবে দাহ্য বস্তু জমেছিল কোনও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ছাড়াই। প্রশাসনের গা ছাড়া মনোভাবের মাশুল দিচ্ছে সাধারণ মানুষ। সুতোয় ঝুলছে প্রাণ। আজ মন্ত্রী এসে দেখে গেলেন গোটা ঘটনা। এবার কি ঘুম ভাঙবে প্রশাসনের?