বছরের এই একটা দিন নিয়ে সংশয়ে পড়ে যান শ্বশুর শাশুড়িরা। তাঁদের মাথায় ঘুরতে থাকে কী দিলে জামাই বাবাজীবনের মুখে হাসি ফুটবে। তেমনই কয়েকটি উপহারে হদিশ এখানে রইল-
জামাই ষষ্ঠী হলে বউমা ষষ্ঠী নয় কেন, এই নিয়ে তর্ক চলতেই থাকবে। কিন্তু তা বলে কি জামাই ষষ্ঠীর কবজি ডুবিয়ে খাওয়া দাওয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে! সব কিছুর সঙ্গে আপোশ করা যায়। কিন্তু কখনওই পেট পুজোর সঙ্গে আপোশ করা যায় না। তাই প্রতি বছরই জামাই ষষ্ঠী নিয়ে উত্তেজনাও থাকে তুঙ্গে।
বছরের এই একটা দিন নিয়ে সংশয়ে পড়ে যান শ্বশুর শাশুড়িরা। তাঁদের মাথায় ঘুরতে থাকে কী দিলে জামাই বাবাজীবনের মুখে হাসি ফুটবে। তেমনই কয়েকটি উপহারে হদিশ এখানে রইল-
১) বই- এর চেয়ে ভাল উপহার আর কিছু হয় কি! তার উপরে জামাই যদি বইপোকা হন, তা হলে তো কথাই নেই। এই উপহার দিলে কখনও তা জলে যায় না। তাই বেশি না ভেবে জামাইকে বই উপহার দিন। তবে তার আগে মেয়ের থেকে জেনে নিন জামাইয়ের কোন বিষয় পছন্দ আর তাঁর সংগ্রহে কী কী বই নেই।
২) জামাই লেখালেখি পছন্দ করলে তাঁকে সুন্দর কলম উপহার দিন, যেটি শার্ট বা পাঞ্জাবির পকেটে রাখলেও দেখতে সুন্দর লাগবে। এছাড়া এখন বাজারে নানা রকমের রং বেরঙের নোটবুক পাওয়া যায়। তেমন একটা নোটবুকও উপহার হিসেবে দিতে পারেন জামাইকে।
৩) জামাইয়ের কি ছবি আঁকা বা গান বাজনা করার প্রতি বিশেষ শখ রয়েছে বা কলেজ জীবনে কি জামাই এসবের মধ্যে থাকতেন! তা হলে সেই স্মৃতিকে একটু চাগাড় দিন। ছবি আঁকতে ভালবাসলে তাঁকে উপহার দিন রঙ-তুলি বা ক্যানভাস। গান বাজনায় আগ্রহ রাখলে গিটার, উকুলেলে-র মতো বাদ্যযন্ত্র উপহার দিতে পারেন।
৪) পোশাক সব সময়েই উপহার হিসেবে দেওয়া যায়। পাঞ্জাবি, টিশার্ট, শার্ট দিতে পারেন। এছাড়াও জামাই যদি ফ্যাশন সচেতন হন, তাঁকে নিয়ে গিয়ে শপিং করতে পারেন। শাশুড়ির বুটিক থাকলে নিজে হাতে বানানো পাঞ্জাবি দিন।
৫) অফিস ব্যাগ, ল্যাপটপ ব্যাগ এগুলি জামাইদের জন্য যে প্রয়োজনীয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু চাইলে ট্রলি ব্যাগ ও জিম ব্যাগও উপহার হিসেবে দিতে পারেন। কাজে লাগবে।
৬) জামাইকে গাছের চারা উপহার দিন। জামাইয়ের যদি গাছের ব্যাপারে আগ্রহ থাকে তা হলে তো কথাই নেই! বিভিন্ন রকমের ঘর সাজানো যায় এমন গাছ উপহার দিন।
৭) আসবাব পত্র সব সময়েই কাজের। প্রয়োজনীয় আসবাব দিন। অথবা ঘর সাজানোর ল্যাম্প ইত্য়াদি দিতে পারেন।
৮) উপহার হিসেবে অন্যতম হল ঘড়ি। কারোকে ঘড়ি উপহার দেওয়ার অর্থই হল তাঁকে সময় উপহার দেওয়া। আর সময়ের চেয়ে মূল্যবান আর কী আছে।
৯) জামাই বাবাজীবন কি বেড়াতে ভালবাসেন! তা হলে তাঁকে ছুটি কাটানোর জন্য বিমানের টিকিট কেটে হোটেল বুক করে দিন।
১০) শ্বশুর বা শাশুড়ি যদি সৃজনশীল হন, নিজে হাতে আঁকা পেন্টিং উপহার দিন। নিজে হাতে বানানো জিনিস সব সময়েই দামী।
